জাভি হার্নান্দেজ আসার পর টানা দুই জয়ে অন্তত লা লিগায় দুঃসময়টা পেছনে ফেলার ইঙ্গিত দিচ্ছিল বার্সেলোনা। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসেই আবার রূঢ় বাস্তবতায় ফিরল কাতালান দলটি। রিয়াল বেটিস ১-০ গোলে বার্সাকে হারিয়ে গেল তাদেরই মাঠে, তাতে কোচ জাভি প্রথম হারের বিস্বাদ পেলেন বার্সেলোনায়। 

এই জয়ের ফলে একটা ছোট ইতিহাসও গড়া হয়ে গেছে বৈকি। চলতি শতাব্দি তো বটেই, শেষ ২৭ বছরে রিয়াল বেটিসের ন্যু ক্যাম্প সফর আর দলটির ক্লিনশিট হারানো ছিল একেবারে নিয়মিত বিষয়। সে ধারায় ছেদ পড়ল আজ, বার্সেলোনা পারল না গোল করতে। তাতেই ভুলতে বসা স্বাদ ফিরিয়ে এনে কাতালুনিয়া ছাড়ল কোচ ম্যানুয়েল পেল্লেগ্রিনির দল।

শেষ কয়েকদিনে বার্সেলোনার সবচেয়ে বড় সমস্যাটা এদিনও সিন্দাবাদের ভূত হয়ে ঘুরে ফিরল দলের ঘাড়ে। সুযোগ কাজে লাগানো গেল না ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায়। উল্টো প্রতি আক্রমণে হজম করতে হলো গোল।

শুরুর অর্ধে কাতালানরা ছন্দে ছিল না একটুও। শুরুতেই হজম করে বসতো গোল, যদি না হুয়ানমির হেডটা সরাসরি গিয়ে পড়তো গোলরক্ষক বরাবর। ছন্নছাড়া বার্সাও সুযোগ পেয়েছিল, জর্দি আলবা নিচু ক্রসে খুঁজে পেয়েছিলেন ফেলিপে কৌতিনিওকে। কিন্তু তিনি দুর্বল এক ফ্লিকে বলটা তুলে দেন বেতিস গোলরক্ষকের হাতে। সেই একটা আক্রমণই প্রথমার্ধে ছিল বার্সার সবেধন নীলমণি। অপর দিকে বেতিসও সুযোগ নষ্ট করেছে। ফলে বিরতির বাঁশি বাজার আগে গোল দেখেনি কোনো পক্ষই।

বিরতির পরও চলেছে একই দৃশ্য। তবে ঘণ্টার কাঁটা পেরোনোর আগে উসমান দেম্বেলে ফেলিপে কৌতিনিওর বদলে নামলে আক্রমণে গতি বাড়ে বার্সার, তবে সেই ফিনিশিংয়ের সমস্যায় গোল পাওয়া হয়নি দলের। তবে বার্সা যে ভুল করেছে, বেতিস তা করেনি। ৭৯ মিনিটে অনেকটা ধারার বিপরীতে গিয়েই আদায় করে নেয় গোল। প্রতি আক্রমণে উঠে এসে সার্জি কানালেস অনেকটা সময় নিয়েছেন। শেষে পাস দিয়েছেন ফাঁকায় থাকা সার্জিও হুয়ানমিকে। তার ঠাণ্ডা মাথায় করা ফিনিশেই পিছিয়ে পড়ে কাতালানরা।

এর পরের মিনিটেই একটা সুযোগ এসে পড়েছিল বার্সার কাছে। উসমান দেম্বেলের স্কয়ার করা বলটা শুধু লক্ষ্যে রাখতে পারলেই গোল পেয়ে যেত বার্সা, কিন্তু এজ আব্দে শটটা নেন লক্ষ্যের বাইরে দিয়ে। এ দৃশ্য বদলায়নি ম্যাচ শেষেও। ফলে জাভি যুগে প্রথম হারের কবলে পড়তে হয় বার্সাকে। এই হারের ফলে ১৫ ম্যাচ শেষে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার সপ্তম অবস্থানে। সমান ম্যাচ থেকে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ আছে তালিকার শীর্ষে।

এনইউ