সাফের নির্বাহী কমিটি বৈঠক শেষে কর্মকর্তারা । ফাইল ছবি

দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সাফের কার্যালয় বদলে যাচ্ছে। গত তিন বছরের বেশি সময় যাবৎ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষ সাফের সচিবালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। সামনের সপ্তাহেই সাফ নতুন কার্যালয় ব্যবহার করবে। 

ঢাকার বনানীতে সাফের নতুন কার্যালয় করা হয়েছে। সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘খুব শিগগির আমরা নতুন অফিসে যাব। নতুন অফিসের সাজসজ্জা প্রায় সম্পন্ন।’ ২৮০০ স্কয়ার ফিটের এক ফ্লোর ভাড়া নেওয়া হয়েছে সাফের কার্যালয়ের জন্য। 

নতুন অফিসে সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকের জন্য আলাদা আলাদা রুম, একটি মিনি কনফারেন্স রুম ও এক্সিকিউটিভদের জন্য একটি কমন রুম থাকছে। প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ সাফকে গুণতে হবে তিন লাখ টাকা। সাফের হঠাৎ সাংগঠনিক এই পরির্বতনের কারণ সম্পর্কে হেলাল বলেন,‘ এএফসির চাহিদাতেই এটা হচ্ছে। তারা সাফের আলাদা নিজস্ব কার্যালয় ও আরও বেশি এক্সিকিউটিভ চায়।’

এএফসি থেকে সাফ প্রতি বছর আড়াই লাখ ডলার অনুদান পেয়ে থাকে। শুধু কার্যালয় নয় সাফের কার্য পরিধিতেও পেশাদারিত্ব আসছে অনেক। সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলালের সাথে একজন মাত্র এক্সিকিউটিভ ছিলেন দাপ্তরিক কাজের জন্য। এখন একটি পূর্ণাঙ্গ সাংগঠনিক দাঁড় করিয়েছে সাফ, ‘আমাদের এখন একজন হেড অফ মিডিয়া, লিগ্যাল অফিসার, কম্পিটিশন অফিসার, চীফ অফ অ্যাকাউন্টট্যান্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’ 

অল নেপাল ফুটবল এসোসিয়েশনের মিডিয়া অফিসার আয়ুশ খার্কা সাফের মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করবেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নেপাল থেকে ঢাকায় এসে বনানী কার্যালয়ে বসবেন আয়ুশ। ভূটান থেকে একজন আসছেন আরেকজন এক্সিকিউটিভ। বাংলাদেশিও কয়েকজন রয়েছেন। 

নতুন এক্সিকিউটিভ সকলের নিয়োগের মেয়াদকাল এক বছর। মাত্র এক বছর চুক্তির কারণ সম্পর্কে সাফের সাধারণ সম্পাদকের ব্যাখ্যা, ‘এএফসি প্রতি বছর চুক্তি নবায়ন করে। এএফসি আমাদের ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থায়ন করবে। এজন্য আমাদের এক্সিকিউটিভদের মেয়াদও রাখছি এক বছর। এএফসি নতুন করে নবায়ন করলে আমরাও নবায়ন করব।’

সাফকে আগে ‘ব্রিফকেস’ সংগঠন বলা হতো। নেপালের গণেশ থাপা ও বাংলাদেশের প্রয়াত সংগঠক সিরাজুল ইসলাম বাচ্চু দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে কাজী সালাউদ্দিন সাফের সভাপতির পদে রয়েছেন। ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল সাফে বেতনভুক্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত। 

আগে শুধু পুরুষ সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ হতো। এখন সাফের আয়োজনের কলেবর বেড়েছে। পুরুষ সিনিয়র জাতীয় দলের চ্যাম্পিয়নশিপের পাশাপাশি নারী চ্যাম্পিয়নশিপ হয়, অনুর্ধ্ব ১৬ ও ১৮ পর্যায়ে নারী এবং পুরুষ পৃথক পৃথক টুর্নামেন্ট হয়। এছাড়া রেফারিং, কোচিং কোর্সও হচ্ছে নিয়মিত। কম্পিটিশন আয়োজন বাবদ বছরে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার কাছ থেকে ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান পায় সাফ। 

চলতি বছর সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত বছর করোনার জন্য টুর্নামেন্ট স্থগিত করেছিল সাফ।

এজেড/এমএইচ/এটি