মহারাজ কৃষ্ণ কৌশিক ও রবীন্দ্র পাল সিং/ফাইল ছবি

ভারতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ যেন থামছেই না। ক্রীড়াজগতেও পড়েছে এর কোপ। খেলোয়াড়রা একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন, প্রাণও যাচ্ছে অনেকের। এবার করোনা দশ ঘণ্টার ব্যবধানে কেড়ে নিয়েছে দেশটির দুই অলিম্পিকজয়ী হকি খেলোয়াড় রবীন্দ্র পাল সিং ও মহারাজ কৃষ্ণ কৌশিককে।

রবীন্দ্র করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সপ্তাহদুয়েক আগে। গত ২৪ এপ্রিল তাকে লক্ষ্ণৌয়ের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬৫ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি দুই সপ্তাহ লড়ে শেষমেশ হার মানেন গতকাল শনিবার সকালে।

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে তিনি লেখেন, ‘রবীন্দ্র পাল সিংয়ের মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। ১৯৮০ সালে মস্কো অলিম্পিক্সের সোনাজয়ী হকি খেলোয়াড়কে হারাল ভারত। ভারতীয় ক্রীড়া ক্ষেত্রে তার অবদান সবসময় স্মরণ করা হবে।’

সতীর্থ রবীন্দ্রের মৃত্যুর প্রায় দশ ঘণ্টার ব্যবধানে না ফেরার দেশে চলে যান মহারাজ কৌশিক। তার শরীরে করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়েছিল গত ১৭ এপ্রিল। স্থানীয় হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয় তখনই। তবে শেষ কিছু দিনে তার অবস্থা অবনতির দিকেই যেতে থাকে। শনিবার সকালে তাকে ভেন্টিলেটরও দিতে হয়। শেষমেশ সেদিন বিকালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। 

খেলোয়াড়ি জীবনে ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলা মহারাজের স্টিক থেকেই এসেছিল ভারতের সোনাজয়ী গোলটা। ১৯৮০ অলিম্পিকে সেবার তার গোলেই স্পেনকে হারায় ভারত। মহারাজ এরপর আরও খেলেছেন, খেলিয়েছেন, সফলও হয়েছেন। ১৯৯৮ এশিয়াডে তার কোচিং গুণেই তো সোনা জেতে ভারত পুরুষ হকি দল। যে কারণে অর্জুন পুরস্কারেও ভূষিত হন তিনি। এরপর নারী দলের কোচিং করিয়েও সফলতা পেয়েছেন তিনি। ২০০৬ এশিয়াডে তার অধীনে খেলেই ব্রোঞ্জ জেতে ভারত।

এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন দেশটির আরেক কীর্তি সন্তান জগদীশ লাড। চিকিৎসার অভাবে মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই জীবনাবসান ঘটে আন্তর্জাতিক বডিবিল্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপে দুইবার রূপার পদক এনে দেওয়া মিস্টার ইন্ডিয়ার। 

এনইউ