চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে দশ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে শুরু। এরপর নিউজিল্যান্ডকেও হারানো, সুপার টুয়েলভের সবকটি ম্যাচে জেতা। পাকিস্তানের বিশ্বকাপটা যেন কাটছিল স্বপ্নেরই মতো করে। শিরোপার আশাটাও তাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল বেশ। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্রেফ চার ওভারের ব্যবধানে বাবর আজমদের সে স্বপ্ন-আশা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলছি সুপার টুয়েলভের মতোই দাপট দেখিয়ে। শেষ চার ওভারে প্রয়োজন ছিল ৫২ রান। ফাইনালের জন্য পাকিস্তানকেই মনে হচ্ছিল ফেভারিট। সেখান থেকেই ম্যাথু ওয়েড আর মার্কাস স্টয়নিস ছিনতাই করে নেন ম্যাচটা, পাকিস্তানকে বিদায় করে অজিরা চলে যায় ফাইনালে। এই হারের পর অবশ্য দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাশেই পেয়েছেন বাবররা। 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ইমরানের সবচেয়ে বড় পরিচয় ছিল দেশটির প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তবে এর বাইরে হারের বিস্বাদ, হৃদয়ভাঙার বেদনা তো বহুবারই ছুঁয়ে গেছে ইমরানকে, দিনশেষে হার জিতটা যে খেলারই একটা অংশ! তাই বর্তমান অবস্থাটা কেমন বাবরদের, সেটা বুঝতেও অসুবিধা হচ্ছে না তার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী লিখলেন, ‘বাবর ও পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সবাইকে আমি জানাতে চাই যে, বর্তমানে তোমাদের মনের অবস্থা কেমন, তা আমি জানি। খেলোয়াড়ি জীবনে আমিও বহুবার এমন হতাশার মুখোমুখি হয়েছি।’

তবে এ হারের পরও দলের পারফর্ম্যান্স নিয়ে গর্বই করা উচিত বাবরদের, বললেন ইমরান। তার ভাষায়, ‘তোমরা যে ধরনের ক্রিকেট খেলেছো এবং জয়ে যে রকমের নম্রতা দেখিয়েছো, তার জন্য তোমাদের গর্ব করা উচিত। অস্ট্রেলিয়াকে অনেক অভিনন্দন।’

১৯৯২ সালে ইমরানের নেতৃত্বে পাকিস্তান নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছিল। সেইবারও অনেকেই পাকিস্তানকে খেতাব জয়ের ফেভারিটদের তালিকায় প্রথমের সারিতে না রাখলেও শেষমেশ সবাইকে চমকে দিয়েছিল দলটি। 

তবে এবার প্রায় নিখুঁত পরিকল্পনা এবং প্রথম থেকে কার্যত বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার এক ওভার আগে পর্যন্ত নিজেদের দাপট প্রতিটি ম্যাচ বজায় রাখতে সক্ষম ছিল পাকিস্তান দল। শেষ মেশ বিশ্বকাপটা জিততে না পারলেও তাই মাথা উঁচিয়েই বিদায় নিচ্ছে বাবর আজমের দল।

এনইউ