বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এলাকায় অতি প্রিয়মুখ ছিলেন মনসুর আলী। সারাদিনই স্টেডিয়ামে নানা খেলার সঙ্গে জড়িত থাকতেন। ক্রীড়া সংগঠক মনসুর পৃথিবী ছেড়েছেন বছর দুই হয়েছে। তিনি চলে গেলেও ক্রীড়াঙ্গনে তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা মনসুর স্পোর্টিং ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। 

মনসুর স্পোর্টিং ক্লাব অনেক দিন থেকেই প্রথম বিভাগ হ্যান্ডবল লিগ খেলে। এবারই প্রথম তারা লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ছয় দলের লিগে সর্বোচ্চ ১৫ পয়েন্ট পেয়ে মনসুরের দল শিরোপা জিতেছে। আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার খেলবে এই আনন্দঘন মুহুর্তে মনসুরকে স্মরণ করছেন তার দলের সকল খেলোয়াড়রা, ‘মনসুর ভাই থাকলে কত খুশি হতেন। তিনি অনেক কষ্ট করে দল চালাতেন। কখনও প্রিমিয়ারে খেলেনি তার দল, এবার আমরা প্রিমিয়ারে তুললাম। তিনি দেখতে পারলেন না।’
 
ক্রীড়াঙ্গনে অনেকে দল গঠন করে বিভিন্ন ফেডারেশনে প্রবেশের জন্য। মনসুর এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তার দলের কাউন্সিলরশীপ দিতেন অন্যদের। দল পরিচালনায় তাদের কাছ থেকে সাহায্য নিতেন। হ্যান্ডবলে মনসুর স্পোর্টিংয়ের কাউন্সিলর সেলিম মিয়া বাবু। মনসুর নেই তাই একটু ভালো মানের দল গড়ার চেষ্টা ছিল তার মধ্যে। 

ওল্ড আইডিয়ালস ও মনসুর স্পোর্টিংয়ের মধ্যেই ছিল মূলত শিরোপার লড়াই। গত পরশু সেই লড়াইয়ে মনসুরের জয়ের পরই অনেকটা নিশ্চিত ছিল দলের শিরোপা। বাকি ম্যাচগুলো ছিল অনেকটা আনুষ্ঠানিকতা। আজ দুপুরে পূর্বাচলের বিপক্ষে জয়ের পর মনসুরের প্রথম বিভাগ শিরোপা নিশ্চিত হয়। মনসুর স্পোর্টিংয়ের হ্যান্ডবলের সভাপতি আব্দুল মান্নানও খানকিটা তৃপ্তির ঢেকুর তুললেন, ‘মনসুর বেঁচে থাকলে কত খুশি হতেন। মনসুর নেই, তার স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে আমরা দল চালিয়ে যাব।’ 

আজ বিকেলে প্রথম বিভাগ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে ট্রফি প্রদান করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক কিউটের স্বত্ত্বাধীকারী কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল সহ ফেডারেশনের আরও অনেকে।

এজেড/এনইআর