জাতীয় পর্যায়ে অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা মানেই স্প্রিন্টার শিরিনের একাধিক পদক। অর্ধযুগের বেশি সময় যাবৎ দেশসেরা দ্রুততম মানবীর খেতাব নিজের কাছে রেখেছেন শিরিন আক্তার। আজ (রোববার) ২০০ মিটার সবার আগে অতিক্রম করলেন ২৪.২০ টাইমিং নিয়ে। 

এই টাইমিং করে বেশ তৃপ্ত শিরিন, ‘২০০ মিটারে আগের রেকর্ড ছিল বিউটি আপুর (নাজমুন নাহার বিউটি) ২৪.৩০ সেকেন্ড। সেটা আমি আজ ভাঙলাম ২৪.২০ সেকেন্ড করে।’ 

একই প্রতিযোগিতায় ১০০ ও ২০০ মিটারে প্রথম হওয়ার নবম ঘটনা শিরিনের জন্য। ১০০ মিটারের পাশাপাশি ২০০ ও ৪০০ মিটারে জেতেন পদক। গত এক দশকে ত্রিমুকুট জিতেছেন কয়েকবার। ২০০ মিটার শেষ হওয়ার পরপরই শিরিনের উদ্দেশ্যে মজা করে সাংবাদিকদের প্রশ্ন, ‘এত পদক কোথায় রাখেন?’ 

টানা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করায় খানিকটা হাঁপিয়ে ওঠা শিরিন এই প্রশ্নে যেন শক্তি খুঁজে পেলেন, ‘আমি যত পদক পেয়েছি এখন পর্যন্ত সবই মায়ের কাছে দেই। মা আমার পদকগুলো সাজিয়ে রাখেন। শুধু খেলাধুলার পদক নয়, শিক্ষা, সামাজিক যত কিছু পদক বা অর্জন আমার সবই মায়ের কাছে।’ 

বিকেএসপির সাবেক এই শিক্ষার্থী জুনিয়র পর্যায় থেকে পদক জিতে আসছেন। এক যুগের বেশি সময়ে অ্যাথলেটিক্স অঙ্গন থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় মিলিয়ে অসংখ্য মেডেল ও সার্টিফিকেট পেয়েছেন শিরিন। এত পদক পেলেও এখনো আলাদা আলমারি বা সুকেস কিনতে হয়নি শিরিনের, ‘মা এখনো আলাদা একটা ব্যাগে ও আলমারিতেই আমার পদকগুলো রাখছেন। সামনে হয়তো নতুন কিছু কিনতে হবে (হাসি)।’ 

শিরিন তার সকল অর্জনের জন্য বিকেএসপির কোচ ও সাবেক দ্রুততম মানব আব্দুল্লাহ হেল কাফিকেই বেশি অবদান দিচ্ছেন, ‘আমার সকল সাফল্যে সবচেয়ে বেশি অবদান কাফি স্যারের। তিনি আমাকে যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে অনুশীলন ও কোচিং করান। আজকের শিরিন হয়ে উঠার পেছনে বিকেএসপি ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অবদান অনেক।’ 

নিজেকে ফিট ও শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার জন্য শিরিনের ত্যাগও কম নয়, ‘গত তিনটি ঈদ আমি পরিবারের সাথে করতে পারিনি। বিকেএসপিতেই করতে হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে হয়তো এবার পরিবারের সাথে ঈদ করতে পারব।’

এজেড/এটি/এমএইচ