রাজধানীর বেইলি রোড ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানোর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। প্রাণ হারানোর তালিকায় রয়েছেন দুই দাবাড়ুর মা শম্পা সাহা–ও। শম্পার দুই মেয়ে শ্রেয়া পোদ্দার ও প্রজ্ঞা পোদ্দার বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের রেটিং ও নারী দাবার অনেক টুর্নামেন্টে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। দুই দাবাড়ুর মায়ের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে দাবা ফেডারেশন। 

দাবা ফেডারেশনের আরবিটার হারুনুর রশিদের সঙ্গে গ্র্যান্ডমাস্টার থেকে শুরু করে সব নবীন দাবাড়ুদের যোগাযোগ। যাদের সঙ্গে আসেন তাদের অভিভাবকরাও। শ্রেয়া ও প্রজ্ঞা পোদ্দারের মা শম্পা সাহা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দুই বোনই আমাদের নারী দাবায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে। রেটিংও রয়েছে তাদের। তার মা মেয়েদের নিয়ে দাবা ফেডারেশনে আসতেন বিভিন্ন সময়ে।’

প্রজ্ঞা পোদ্দার সম্প্রতি কানাডায় উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়েছেন। তার আরেক বোন শ্রেয়া পোদ্দার পড়ছেন কানাডিয়ান আন্তর্জাতিক স্কুলে। সেই স্কুলে পড়েন সাবেক জাতীয় দাবাড়ু ও জাতীয় ইন্সট্রাকটর কিশোয়ার সাজরিন ইভানার ছেলেও। ইভানা একটি দাবা একাডেমি গড়েছেন। সেই একাডেমিতেই মূলত শ্রেয়া ও প্রজ্ঞা দুই বোনের দাবার হাতেখড়ি। দুই বোনের পাশাপাশি তার মা শম্পা সাহার সঙ্গেও ভালো যোগাযোগ ছিল ইভানার।

ইভানার সঙ্গে দাবাড়ু দুই বোনের পারিবারিক যোগাযোগ থাকায় জানতে পেরেছেন শম্পা সাহার মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাটি। তিনি নির্মম ঘটনার বর্ণনা করলেন ইভানা এভাবে, ‘গতকাল সন্ধ্যার পর শম্পা কেনাকাটা করতে বের হয়। তার পরিবার জানতো না সে ওই বিল্ডিংয়ে কিছু কিনতে গেছে। কয়েক ঘণ্টা পর যখন জানল এমন ঘটনা ঘটেছে। সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর তারা বার্ন ইউনিটে যায়। বার্ন ইউনিটে শম্পাকে শনাক্ত করে পরিবার।’ শম্পার পরিবারের দেওয়া তথ্যে ইভানা আরও বলেন, ‘শম্পা আগুনে সেভাবে পুড়েনি। ধোয়ার কুণ্ডলিতে শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় সম্ভবত আমরা শম্পাকে হারালাম।’

বেইলি রোডের পাশেই মৌচাকে শম্পা পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার মেয়ে প্রজ্ঞা কানাডা থেকে আগামীকাল (শনিবার) সকালে পৌঁছানোর কথা। এরপর শম্পার সৎকার সম্পাদন হবে বলে জানা গেছে।

বেইলি রোড ট্র্যাজেডিতে ক্রীড়া সংস্থাগুলোর মধ্যে সমবেদনায় সবচেয়ে এগিয়ে বিসিবি। আনুষ্ঠানিক শোক বার্তার পাশাপাশি বিপিএলের ফাইনাল শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতাও পালন করা হয়েছে। দেশের আরেক শীর্ষ ক্রীড়া সংস্থা বাফুফের কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত।

এজেড/এএইচএস