হ্যান্ডবলে সম্মানিত হয়ে সোনালী সময়ে ফিরলেন তারা
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেই রকম সাফল্য না থাকলেও জাতীয় পর্যায়ে অন্যতম সচল একটি খেলা হ্যান্ডবল। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে শহীদ ক্যাপ্টেন (অব.) মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে সব সময় খেলা লেগেই থাকে। দেশের সচল ক্রীড়া ফেডারেশন হিসেবে স্বীকৃতিও পেয়েছে কয়েকবার বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন।
সেই হ্যান্ডবল ফেডারেশন গতকাল সোমবার আয়োজন করেছে ব্যতিক্রম এক অনুষ্ঠান। হ্যান্ডবলে অবদান রাখা ২ জন সাবেক খেলোয়াড়, ২ জন সংগঠক, একজন কোচ ও রেফারিকে সম্মাননা জানিয়েছে। বাংলাদেশের কোনো ফেডারেশন আনুষ্ঠানিকভাবে এ রকম সম্মাননা জানানোর ঘটনা বিরল। সেই সম্মাননার নামকরণও বিচক্ষণতা দেখিয়েছে হ্যান্ডবল ফেডারেশন। তাদের প্রথম সভাপতির নামে নামকরণ হয়েছে, ‘এমএ হামিদ সম্মাননা পুরস্কার।’
বিজ্ঞাপন
গতকাল রাতের অনুষ্ঠান করোনার জন্য সীমিত পরিসরে হলেও রূপ নিয়েছিল হ্যান্ডবলের মিলনমেলায়। প্রবীণ ও তরুণের দারুণ সেতুবন্ধনও হয়েছে এই অনুষ্ঠান। সম্মাননাপ্রাপ্তরা অনেকেই ফিরে গেলেন তাদের সোনালী সময়ে। সাবেক খেলোয়াড় জাহানারা বেগম বলেন, ‘আমি তো ভেবেছিলাম আমাকে হয়তো ভুলেই গেছে। এভাবে সম্মান দেবে ভাবিনি। হ্যান্ডবলের সোনালি দিনের কথা মনে পড়ছে।’
খেলোয়াড়, সংগঠক, কোচের সঙ্গে রেফারিকেও সম্মাননা জানানোয় দারুণ খুশি মতিউর রহমান দুলু, ‘রেফারিং,আম্পায়ারিং সব খেলায় থ্যাংকলেস জব। কিন্তু রেফারিরা খেলার অন্যতম প্রাণ। সম্মাননা অনুষ্ঠানে রেফারিদের সংযুক্ত করায় ফেডারেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
বিজ্ঞাপন
অগ্রজদের হাতে সম্মাননা স্মারক দেখে সদ্য অবসর নেওয়া নারী হ্যান্ডবল খেলোয়াড় ডালিয়া আক্তারও অনুপ্রাণিত, ‘আজ সিনিয়ররা সম্মানিত হচ্ছেন, সামনে আমরা হব। এতে হ্যান্ডবলে কাজের প্রতি সবাই আগ্রহী হবে।’
হ্যান্ডবলের সম্মাননা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন অনেক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু হ্যান্ডবলের এই উদ্যোগকে অন্যদের ভাবনার খোরাক হিসেবে দেখছেন, ‘খেলা ছাড়ার পর, সংগঠক, রেফারিং ক্যারিয়ার শেষে এ রকম প্রাপ্তি সবার কাঙ্ক্ষিত থাকে। হ্যান্ডবল ফেডারেশন উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং অন্য ফেডারেশনগুলো এ দেখে অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো।’
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক ভালো উদ্যোগ পরবর্তীতে ধারাবাহিকতা থাকে না৷ এই সম্মাননার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আশ্বাস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনূরের, ‘আমাদের কমিটির সবাই এই সুন্দর উদ্যোগ নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে আয়োজনের ব্যাপারে আগ্রহী। এতে আমাদের হ্যান্ডবল পরিবারই আরো গর্বিত হবে।’
সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতার হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সম্মাননা অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন: জাহানারা বেগম, মং শা পুরে (সাবেক খেলোয়াড়) হোসনে আরা খানম, ফরিদা আক্তার (সংগঠক) নাজির আক্তার মুকুল (কোচ), মতিউর রহমান দুলু (রেফারি)।
এজেড/এটি/এনইউ