বাংলাদেশ-জাপানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বহু দিনের পুরোনো। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া। এবারের অলিম্পিকের স্বাগতিক জাপানের রাজধানী টোকিও। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি টোকিওগামী বাংলাদেশ দল নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। গতকাল দূতাবাস এক ভার্চুয়াল সভা করে। আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের আমন্ত্রণে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনেও এসেছিলেন।
 
সংবাদ সম্মেলনে তার প্রারম্ভিক বক্তব্যে বলেন, ‘আশা করি টোকিও থেকে বাংলাদেশ ক্রীড়া ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত ইতিহাস রচনা করতে সক্ষম হবে। টোকিওগামী দলের প্রতি আমাদের শুভকামনা। টোকিও গেমস আয়োজনের প্রস্তুত ও সম্পূর্ণ নিরাপদ। জাপান সরকার ও জাপান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’
 
জাপান বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে সাহায্যকারী দেশ। রাষ্ট্রীয় বিষয় ছাড়াও ক্রীড়াঙ্গনেও জাপান বাংলাদেশকে অনেক সহায়তা করে। ফুটবল ফেডারেশনকে জাপান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আর্থিক সহায়তা করছে প্রায় এক যুগের বেশি সময়। 

টোকিও অলিম্পিকের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ জাপান ক্রীড়াক্ষেত্রে কূটনীতি ও সম্পর্ক বিশেষ পর্যায় থাকবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত, ‘ক্রীড়াক্ষেত্রেও দুই দেশের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক। সাতারে জাপানী কোচ কাজ করেছে। বিকেএসপিতে জাপানের অনেক টেকনিক্যাল ও কোচিং স্টাফ সহায়তা করেছে আগে। টোকিও অলিম্পিকের পর জাপানি পদকপ্রাপ্ত অলিম্পিয়ানদের বাংলাদেশ আনার পরিকল্পনাও রয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরাও তাদের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হবে।’ 

বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করছে। স্বাধীনতার ৫০ তম বছরে দুই দেশের ক্রীড়া সম্পর্ক আরও জোরদার করার আশাবাদ এই জাপানি রাষ্ট্রদূতের, ‘দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ৫০ বছর হয়েছে। টোকিও গেমসের পর ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে অনেক কাজের পরিকল্পনা রয়েছে।’ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও এই ব্যাপারে অবগত রয়েছেন। তার সঙ্গেও রাষ্ট্রদূত দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক ক্রীড়ার পারস্পরিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।

এজেড/এমএইচ