দুই দিনের ছুটি নিয়ে চিরবিদায় কামরুলের
ছবি : সংগৃহীত
বর্তমান সমাজে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে অনেক। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও এই ঘটনা ঘটছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন একজন ক্রীড়াবিদ। দেশের তায়কোয়ান্দো খেলোয়াড় কামরুল ইসলাম আজ (শুক্রবার) ভোরে আত্মহত্যা করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার দুপুরের মধ্যে কামরুলের মৃত্যুর খবর স্টেডিয়াম পাড়ায় পৌঁছে যায়। বাংলাদেশ তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানা বলেন, ‘সে ফেডারেশনে ক্যাম্পে ছিল। আমাদের কাছ থেকে দুই দিনের জন্য ছুটি নিয়েছিল পারিবারিক কারণে। আমরা মানবিক কারণে ছুটি মঞ্জুর করেছি।’
বিজ্ঞাপন
কামরুলের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম। কামরুল চট্টগ্রাম না গিয়ে তার বান্ধবীর ঢাকার বাসায় গিয়ে থাকবেন এটি জানা ছিল না ফেডারেশনের। এই প্রসঙ্গে রানা বলেন, ‘ওই মেয়ে কাল (বৃহস্পতিবার) আমার সঙ্গে কথা বলেছিল। তখনও বলেনি কামরুল ঢাকায়।’
সংশ্লিষ্টদের ধারণা হয়তো ওই মেয়ের সঙ্গে কোনো কারণে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন কামরুল। এই ব্যাপারে ফেডারেশনের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, ‘আমরা এখন কামরুলের মরদেহ চট্টগ্রাম পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। খুব দ্রুততার সাথে বিমানে ওর বড় ভাইকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এনেছি। আইনী পদক্ষেপের ব্যাপারে পরিবারের সাথে থাকবে ফেডারেশন।’
বিজ্ঞাপন
কামরুল বাংলাদেশ আনসারের হয়ে খেলতেন। জাতীয় পর্যায়ে তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতায় কামরুল অনেকবার তার ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছেন। ২০১৯ এসএ গেমসে ব্রোঞ্জ জিতেছেন এই তায়কোন্দকা। কামরুলের মৃত্যুতে বাংলাদেশের তায়কোয়ান্দোর অপূরণীয় ক্ষতি মনে করছেন সাধারণ সম্পাদক, ‘সে অত্যন্ত মেধাবী খেলোয়াড়। বিশেষ করে পুমসে -২৪ কেজি ক্যাটাগরিতে সে সেরা। তার পেছনে ফেডারেশন ও আনসারের অনেক অবদান ছিল। তার মৃত্যুতে দেশ একজন ভালো খেলোয়াড় হারাল।’
২০১৯ এসএ গেমসে স্বর্ণ পদক জয়ী দীপু চাকমাও শোকাহত, ‘আমরা বাংলাদেশ গেমসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় কামরুলের মৃত্যু আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিল।’
এজেড/এটি/এমএইচ