প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ঢাকায় নেওয়ার দাবি
বিভাগীয় পর্যায়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের শঙ্কা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ঢাকায় নেওয়ার দাবি করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
চাকরিপ্রত্যাশীদের পক্ষে এ দাবিগুলো উপস্থাপন করেন- রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খায়রুল আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের নাফিসা আলম, সমাজকর্ম বিভাগের সূর্বনা রায়, অর্থনীতি বিভাগের তাজমুল ইসলাম, গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কামাল হোসেন প্রমূখ।
বিজ্ঞাপন
বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষার নানা অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরে তারা বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা আমাদের স্বপ্নকে ভেঙে-চুরমার করে দেয়। কারণ, বিভিন্ন গণমাধ্যম মারফত আমরা জানতে পারলাম, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০ এর লিখিত পরীক্ষা আগামী এপ্রিল মাসে দেশের বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। এই খবর জানার পর আমরা শিক্ষিত বেকাররা দিশেহারা হওয়ার পথে।
অথচ এই নিয়োগ পরীক্ষাটি কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় নেওয়া হবে বলে গত সপ্তাহে দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই খবরের এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই গত রোববার কর্তৃপক্ষ জেলা পর্যায়ে পরীক্ষাটি নেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই বিষয়ে আজ তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন বলে আমরা খবরে জানতে পারলাম।
বিজ্ঞাপন
তারা আরও বলেন, জেলা পর্যায়ে নিয়োগ পরীক্ষাটি নেওয়ার খবর আমাদের চরমভাবে হতাশ করেছে। জেলা পর্যায়ে পরীক্ষা নেওয়ার অতীত রেকর্ড ভালো নয়। বিগত সময়গুলোত জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রক্সিসহ নানা অনিয়ম ঘটেছে, যা আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি। আমরা আশঙ্কা করছি জেলা পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে সেখানে ভয়াবহ দুর্নীতি হতে পারে। এর প্রমাণ আমরা বিগত বছরগুলোতে এবং চলতি বছর একাধিক নিয়োগ পরীক্ষাতে পেয়েছি।
এ সময় তারা দাবি করেন, একটি কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহল নিয়োগ পরীক্ষাটিতে জালিয়াতি করতে, দুর্নীতি করে নিজেদের আখের গোছাতে জেলা পর্যায়ে পরীক্ষাটি নেওয়ার জন্য বেশ তৎপর হয়ে পড়েছে। তারা চায়, যেকোনো মূল্যে নিয়োগ পরীক্ষাটি জেলা পর্যায়ে নিতে। এতে করে তারা প্রশ্নপত্র ফাঁস বা কেন্দ্র দখল করে তাদের নির্ধারিত অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের পথ সুগম করতে পারবে।
সেই সঙ্গে তারা নিয়োগকে বিতর্কিত করে শিক্ষিত বেকার যুবকদের উস্কে দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে তৎপর। অথচ কেন্দ্রীয়ভাবে শুধু ঢাকায় পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হলে অন্য সকল চাকরির পরীক্ষার মতো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাটিও কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।
মেশকাত মিশু/আরআই