জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ভুল তথ্যে বক্তব্য দেওয়ার একটা ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর বিয়ের সাল, মাতা-পিতার নামের উচ্চারণ, ভাইবোনের সংখ্যা নিয়ে বেশ কিছু ভুল তথ্য দিয়েছেন।

তবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি এ বক্তব্য নিয়ে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। 

গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ বক্তব্য দেন লিটন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপটিতে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন লুৎফর রহমান এবং সাহারা খাতুনের চার ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে তৃতীয়। তিনি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাত বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। ১৪ বছর বয়সে বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন। ফলে তার শিক্ষাজীবন চার বছর পিছিয়ে পড়ে। শিক্ষাজীবন পিছিয়ে যাওয়ার পরও তিনি দমে যাননি।’

এরপর বঙ্গবন্ধুর বিয়ে নিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯২৮ সালে, সরি ১৯২৪ সালে, না ১৯১৮ সালে জনাব...জনাবা...১৯১৮ সালে ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করেন।’ এ সময় পাশ থেকে কয়েকজন ১৯৩৮ সাল বলে শিখিয়ে দেন। এরপরও হাবিবুর বলেন, ‘১৯১৮ সালে...২০১৮ সালে... ১৯১৮ সালে তিনি বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছাকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়... এবং তিনি তার শিক্ষাজীবন ক্রমাগত চালিয়ে যান...।’

এদিকে উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, শেখ মুজিবের বয়স যখন ১৩ ও বেগম ফজিলাতুন্নেসার বয়স যখন মাত্র ৩, তখন পরিবারের বড়রা তাদের বিয়ে ঠিক করেন। ১৯৩৮ সালে বিয়ে হওয়ার সময় রেনুর বয়স ছিল ৮ বছর ও শেখ মুজিবের ১৮ বছর। পরে এই দম্পতির দুই কন্যা ও তিন ছেলে হয়। তারা হলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল।

এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান লিটন গণমাধ্যমকে বলেন, ওইদিন বক্তব্য দেওয়ার সময় পেছন থেকে অনেক আওয়াজ আসছিল, তখন আমি ভুল বলে ফেলেছি। পেছন থেকে একেকজন ভিন্ন ভিন্ন তারিখ বলছিল। এতে আমার কনসেন্ট্রেশন ব্রেক হয়েছিল।

এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে গত ১৭ মার্চ আয়োজিত আলোচনায় আমার বক্তব্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল-ত্রুটি থাকায় আমার সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের কাছে আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

মো. আলকামা/আরআই