শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। 

তিনি বলেন, আমি চাই সবাই এক হয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এ পরিবর্তনের ধারাকে অব্যাহত রাখবেন।

বুধবার (১৯ মে) যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে তার বিদায় সংবর্ধনায় উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।

২০১৭ সালের ২০ মে যবিপ্রবিতে উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন তিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চার বছর দায়িত্ব পালন শেষে ১৯ মে ২০২১ তার মেয়াদের শেষ দিন।

অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, উপাচার্য আসবেন, যাবেন। যেহেতু আপনাদের রুট এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোথিত, তাই আপনারা থাকবেন। আমার প্রত্যাশা, একটি পরিবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকবেন।

তিনি বলেন, চলার পথে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে অনেক সময় আপনাদের সঙ্গে যথাযথ বা উপযুক্ত ব্যবহার করতে পারিনি। একসঙ্গে থাকলে মানুষ হিসেবে আমাদের অনেক ভুলত্রুটি হতে পারে। আশা করি, আমার বিদায়বেলায় এটি আপনারা ভুলে যাবেন। আপনাদের ব্যবহারও আমি ভুলে যাব। এ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আপনাদের সকলের জন্য শুভ কামনা ও দোয়া রইলো। আমার এবং আমার পরিবারের জন্যও আপনারা দোয়া করবেন।

বিভিন্ন উপহার সামগ্রী, ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, কর্মকর্তা সমিতি, কর্মচারী সমিতি, বিভিন্ন বিভাগ, দফতর ও শাখা এবং যবিপ্রবি ছাত্রলীগ, যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি, যবিপ্রবি বিবর্তন, যবিপ্রবি রোটার‌্যাক্ট ক্লাব ও যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিদায় সংবর্ধনা জানায়। যবিপ্রবি উপাচার্য তার মেয়াদের শেষ দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, দফতরপ্রধানরা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এদিন দুপুরে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  

মতবিনিময় সভাসহ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন, ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত, ড. মো. মেহেদী হাসান, জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. নাজমুল হাসান, শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট ড. সেলিনা আক্তার, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের পরিচালক ড. মো. আলম হোসেন, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ড. মো. আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামরুল হাসান, কর্মচারী সমিতির সভাপতি শওকত ইসলাম সবুজ, সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাহিদ হাসান/আরএআর