জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের পরীক্ষার ফলাফলে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন ও পুনঃনিরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।  বুধবার (১১ আগস্ট) সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যারয়ের প্রধান ফটকে বিক্ষোভ ও উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

নরসিংদী সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের পরীক্ষার্থী মো. দিদার সরকার জানান, গত ২০ জুলাই ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফলে ৭২ শতাংশ পাস করেছে। ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন না করায় এতো শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এ পরীক্ষায় ১০টি কোর্সের মধ্যে ৯টিতে প্রথম শ্রেণি পেলেও তুলনামূলক সহজ বিষয়ে গণহারে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। যা খুবই হতাশাজনক এবং লজ্জাজনক। 

তিনি আরও বলেন, আমরা যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। পরীক্ষাও খুব ভালো দিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে আমাদের আশানুরূপ ফলাফল আসেনি। সম্মানিত শিক্ষক মহোদয়গণ দায়সারাভাবে খাতা মূল্যায়ন করায় আমাদের খারাপ ফলাফল এসেছে। ওই ফলাফলে ২৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে এক বিষয়ে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। আবার সশরীরে পরীক্ষা দিলেও অনেক শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। 

কারমাইকেল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের পরীক্ষার্থী মো. রেজোয়ান বলেন, সঠিকভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও পুনঃনিরীক্ষার জন্য অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করার পর আমাদের নিজ নিজ কলেজের শিক্ষক দ্বারা মূল্যায়ন করে দ্রুত ফল দেওয়া হোক। তারপরও অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে (করোনাকালে) বিশেষ পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট ও অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুত ফল দেওয়া হউক। যাতে শিক্ষার্থীরা বিসিএস, মাস্টার্স ও চাকরীর পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো.বদরুজ্জামান জানান, যথাযথভাবে খাতা মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। খাতা পুনরায় মূল্যায়নের বিধান নেই। তবে খাতা পুনঃনিরীক্ষার সুযোগ আছে। এ ছাড়া অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ পরীক্ষার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। 

শিহাব খান/আরএআর