১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

মানববন্ধনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলে দেশের সবকিছু খোলা রাখা হলেও বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর পেছনে কাজ করছে সরকারের ভয়। গত দেড় বছরে স্বাস্থ্য খাতে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে আমরা সবাই দেখেছি। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। সরকার ভাবছে শিক্ষার্থীরা যদি এসব নিয়ে ফুঁসে উঠে তাহলে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। এ ভয় থেকেই সরকার করোনার অজুহাত দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না।

বিশেষ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে বলা হয়েছে, সব শিক্ষার্থী টিকা পেলে সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হতে পারে। কিন্তু আমরা দেখছি, চার লাখ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র দুই লাখ শিক্ষার্থী টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে। আর ৭৯ হাজার শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ নিতে পেরেছে। ফলে প্রচলিত পদ্ধতিতে টিকা কার্যক্রম চললে এ বছরেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। আমরা আর আশ্বাসে বিশ্বাস রাখবো না। শিক্ষার্থীদের বিশেষ ব্যবস্থায় টিকার আওতায় এনে ১ সেপ্টেম্বর থেকেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

সংগঠনটির দফতর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী বলেন, দেশে সবকিছু চললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ শিক্ষা মানুষকে বিবেক এবং চোখ খুলে দেয়। এই আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। তরুণ যুব সমাজ এদের বিরুদ্ধে লড়তে চায়। এ জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে যেন শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা পেতে না পেরে। এর মধ্য দিয়ে একটা প্রজন্মকে সরকার মেরে ফেলতে চাচ্ছে।

এইচআর/এসকেডি