ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ঐতিহ্যবাহী সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের (এসএম) বারান্দায় ফাটল দেখা দেওয়ায় নতুন শিক্ষাবর্ষের কোনো ছাত্রকে অ্যালটমেন্ট (বরাদ্দ) দেওয়া হবে না। পাশাপাশি হলের বারান্দায় থাকা সব শিক্ষার্থীদের রুম বরাদ্দ দিয়ে বারান্দা খালি করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে হল পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান উপাচার্য। এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে হল পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূইয়া প্রমুখ। হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মজিবুর রহমান ও হাউজ টিউটররা হলের বারান্দা, পাঠকক্ষসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখান।

হল পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, হলটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্য্যের অন্যতম প্রতীক। শিক্ষার্থীদের জন্য সবকিছু প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কল্যাণে হল প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। তবে হলটি খুবই ঝুঁকিতে আছে। আমরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটি প্রতিবেদন আমরা হাতে পেয়েছি। আমরা হলটিকে বিশেষ নজরে রাখছি।

হলে এবার নতুন শিক্ষার্থী অ্যালটমেন্ট বন্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই হলে যে পরিমাণ রুম ও সিট রয়েছে এর বাইরে অতিরিক্ত (বারান্দায় শিক্ষার্থী রাখা) ধারণ ক্ষমতা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি, এই হলে নতুন করে কোনো শিক্ষার্থী সংযুক্তি দেবো না। যাতে হলটি হালকা রাখা যায় নইলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে।

উপাচার্য বলেন, হল প্রশাসন ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে হলের বারান্দায় বা অন্যত্র কোনো শিক্ষার্থী থাকবে না। হলের বারান্দায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান করলে বড় আকারের কোনো দুর্ঘটনায় পড়তে হতে পারে। তাই এটি আমাদের সবচেয়ে বড় কনসার্ন। এই বারান্দায় যাতে শিক্ষার্থীদের না রাখতে হয় সে জন্য এ বছর থেকেই হলে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেবো। একইসঙ্গে ক্রমান্বয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে, এটিই বিশেষজ্ঞদের মতামত।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মজিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপাচার্য আজ হল পরিদর্শন করেছেন। ঝুঁকি ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনায় কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের বারান্দায় না রাখার বিষয়ে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের সিদ্ধান্ত বারান্দা একদমই বন্ধ করে দেওয়া হবে। বৈধ শিক্ষার্থীদের আমরা রুমে অ্যালটমেন্ট দিয়ে দিচ্ছি। শিক্ষার্থী ও ছাত্র নেতারাও বিষয়ে খুবই আন্তরিক। এ সময় তিনি সাংবাদিকসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

এইচআর/ওএফ