রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্তদের আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হয়

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক হত্যা মামলার রায়ে দুজনের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের-১ বিচারক ইসরাত জাহান এ রায় দেন।

২০১৬ সালের ২ এপ্রিল শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম আদি কালিবাড়ি প্রাঙ্গণে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হরিবাসরে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বপালনের সময় সনাতন চন্দ্রকে হত্যা করা হয়।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম দক্ষিণপাড়ার আলমগীর হোসেনের ছেলে বিপুল (২৭) ও শহরের সুত্রাপুরের আইনুল হকের ছেলে অরুন (২৫)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রাজিব সরকার (৩০), রাফিউল ইসলাম রনি (২৭) ও আলম (২৫)। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিনয় কুমার ঘোষ রজত বলেন, ২০১৬ সালের ২ এপ্রিল শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম আদি কালিবাড়ি প্রাঙ্গণে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হরিবাসর চলছিল। সেখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সনাতন চন্দ্র।

ওই দিন রাত ১১টার দিকে হরিবাসরে আগত নারীদের উত্ত্যক্ত করছিল স্থানীয় কিছু যুবক। সনাতন চন্দ্র প্রতিবাদ করলে ছুরিকাঘাত করেন আসামিরা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সুরথ চন্দ্র প্রাং বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেন শাজাহানপুর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন চন্দ্র কুন্ড। সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

নিহতের বাবা সুরথ চন্দ্র প্রাং বলেন, দীর্ঘদিন পর মামলার রায় হয়েছে। রায়ে আমি সন্তুষ্ট হয়েছি। রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাই।

সাখাওয়াত হোসেন জনি/এএম