সোমবার সকালে দুই হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরের পথে রওনা হয়

চতুর্থ ধাপের দ্বিতীয় দিনে ২০টি বাসে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন ১ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গা। প্রথমে তারা চট্টগ্রাম যাবেন, সেখান থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের বাসগুলো উখিয়া ডিগ্রি কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। সেই সঙ্গে ১১টি কাভার্ডভ্যানে তাদের মালামাল থাকবে।

এ সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। চট্টগ্রামে পৌঁছার পর নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তাদের জাহাজে করে ভাসানচরে নেওয়া হবে। কক্সবাজারে অবস্থিত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অফিসের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন ঢাকা পোস্টকে বলেন,  শনিবার রাত থেকে উখিয়া, টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের উখিয়া ডিগ্রি কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। সেখানে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের ভাসানচরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

চতুর্থ ধাপের প্রথম দিনে রোববার দুপুরে দুই ধাপে ২০১৪ জন রোহিঙ্গা ৩৯টি বাসে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। তারা এখন চট্টগ্রামের বোটঘাট থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে।

গত ৩ ডিসেম্বর রোহিঙ্গাদের ভাসানচর যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত তিন দফায় সাড়ে ৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে। উখিয়া, টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চাপ কমাতে সরকার রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সেখানে তাদের জন্য তৈরি করা হয় আধুনিক ও উন্নতমানের ঘর।  

এদিকে, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে যাত্রা নিরাপদ করতে ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস পর্যন্ত এলাকাজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

মুহিববুল্লাহ মুহিব/এসপি