পাঁচ দাবিতে সমাবেশ করেছে বগুড়া অটোরিকশা ও ভ্যান শ্রমিক এবং মালিক সংগ্রাম পরিষদ

অটোরিকশা ও ভ্যানের ট্রেড লাইসেন্সসহ পাঁচ দাবিতে সমাবেশ করেছে বগুড়া অটোরিকশা ও ভ্যান শ্রমিক এবং মালিক সংগ্রাম পরিষদ।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বগুড়া শহরের সাতমাথায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার মেয়রের কাছে স্মারকলিপি দেন পরিষদের নেতারা।

অটোরিকশা ও ভ্যান শ্রমিক এবং মালিক সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের আহ্বায়ক কবির হোসেন। শ্রমিক নেতা আব্দুল হাইয়ের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আমিনুল ইসলাম, রঞ্জন কুমার দে, সোহাগ, নূরনবী সরকার ও নারী নেত্রী নুরজাহান খাতুন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নিজ নিজ এলাকায় অটোরিকশা এবং ভ্যানের লাইসেন্স দিয়েছে। যদি অটোরিকশা অবৈধ হয় তাহলে তা কেন বিদেশ থেকে আমদানি করা হলো। বগুড়া শহরে অর্ধশতাধিক অটোরিকশা ও ভ্যানের শোরুম আছে। প্রতিটি শোরুমে প্রতিদিন অটোরিকশা ও ভ্যান বিক্রি হয়। শোরুম বন্ধ হয় না অথচ বগুড়ায় অটোরিকশা ও ভ্যান চললে হয়রানি করে প্রশাসন। 

বক্তারা আরও বলেন, নদীভাঙন, বন্যা ও খরাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ছেলে-মেয়ের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সংকটে কাজের সন্ধানে আমরা এই শহরে এসেছি। শহরে কাজ না পেয়ে অটোরিকশা ও ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। অথচ এসব পরিবহন অবৈধ বলে আমাদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও হয়রানি করা হয়। ২০১৪ সালে স্থানীয় সরকার এসব পরিবহনের লাইসেন্স দেয়ার অনুমতি দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন অটোরিকশা এবং ভ্যানের অনুমতি দিলেও বগুড়ায় দেয়া হয়নি।

মানববন্ধন সমাবেশ শেষে অটোরিকশা ও ভ্যান শ্রমিক এবং মালিক সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং শ্রমিকরা জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার মেয়রের কাছে স্মারকলিপি দেন।

অটোরিকশা ও ভ্যান শ্রমিক এবং মালিক সংগ্রাম পরিষদের পাঁচ দাবি :

১) পৌরসভা থেকে অটোরিকশা ও ভ্যানের ট্রেড লাইসেন্স দিতে হবে।

২) পুলিশি নির্যাতন, হয়রানি ও অটোরিকশা ভাঙচুর বন্ধ, ছিট খুলে নেয়া এবং টায়ার পাংচার বন্ধ করতে হবে।

৩) রাস্তায় অবস্থান নির্ধারণ করে দিতে হবে; সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যান্ডে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করতে হবে। 

৪) রাস্তায় প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। 

৫) ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে।

এ বিষয়ে বগুড়ার ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের পরিবহন আইন অনুযায়ী লাইসেন্সবিহীন অটোরিকশা ও ভ্যানকে জরিমানা করে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা নেয়া হয়। অবৈধ এসব রিকশা শহরের যানজট তীব্র করেছে। শহর প্রায় অচল করে ফেলছে এসব অটোরিকশা ও ভ্যান। 

বগুড়া পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান বলেন, একবার লাইসেন্স দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু মন্ত্রণায়ল থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে, প্যাডেল রিকশা ছাড়া অটোরিকশার লাইসেন্স দেয়া যাবে না। তাই লাইসেন্স দেইনি।

এএম