ফাইল ছবি

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটির ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সোমবার (২১ ডিসেম্বর) থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।

তবে এ পথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করছেন। সোমবার বিকাল ৪টা থেকে সংগঠনটির অনির্দিষ্টকালের ডাকা কর্মবিরতিতে এ পথে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দুই পারের বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় শত শত ট্রাক আটকা পড়েছে।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র সাংবাদিকদের বলেন, জীবন-জীবিকা বাঁচাও নামক একটি কমিটির আন্দোলনের কারণে সোমবার থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দু'দেশের আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায়সহ অনেক কিছু মেনে আমদানি-রফতানিসহ চেকপোস্টের অন্য কাজকর্মে স্বাভাবিকতা ফিরে আনা হয়। এসব মেনে চলতে সাধারণ কুলিদের রুটির ওপর হাত পড়েছে। কুলি ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা কর্মস্থল ফিরে পেতে তারা আন্দোলন করছেন।

তাদের ৫ দফা দাবি হলো— অবিলম্বে পূর্বের ন্যায় পরিবহন কুলিদের কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে, পূর্বের ন্যায় চালক ও সহকারীদের পায়ে হেঁটে বন্দরের মধ্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা, সাধারণ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার নামে অত্যাচার বন্ধ, বাংলাদেশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পণ্যবাহীগাড়িগুলো খালি করার ব্যবস্থা করতে হবে ও আধুনিকতার অজুহাতে শ্রমিকদের কর্মহীন করা চলবে না।

বেনাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং-এর স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে মোবাইল ফোনে বলেন, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে সকাল থেকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।

আমদানি-রফতানি সচল করতে ওপারে বৈঠক চলছে। বৈঠক ফলপ্রসূ হলে পুনরায় দু'দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি চালু হবে।

এমএসআর