পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে

সাড়ে ১৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবার বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় পেট্রাপোল বন্দরের জীবন-জীবিকা বাঁচাও নামে একটি সংগঠন ধর্মঘট ডাকে। এতে বন্ধ হয়ে যায় পণ্য পারাপার।

এদিকে, মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়ায় দুই দেশের মধ্যে পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এর আগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি- রফতানি বন্ধ রাখে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে জীবন-জীবিকা বাঁচাও নামে একটি সংগঠন। এতে দুই বন্দরে সহস্রাধিক ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়ে।

জানা যায়, প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও দেড় শতাধিক ট্রাকে পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদনে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা বেনাপোল বন্দরে আসা-যাওয়া করতেন। কিন্তু বিএসএফ সাম্প্রতি নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে তাদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। 

এছাড়া বিএসএফের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া ট্রাক তল্লাশিতে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ করে। এ সকল সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হতে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। কিন্তু কোনো সমাধান না আসায় বাধ্য হয়ে (২১ ডিসেম্বর) সোমবার বিকাল ৪টা থেকে জীবন-জীবিকা বাঁচাও নামে সংগঠন কর্মবিরতি পালন করে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয়। তবে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, তারা বাণিজ্য সচলের জন্য সোমবার সারাদিন আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এদিন কোনো ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি। মঙ্গলবার সকালে সন্তোষজনক একটি সমাধানের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। ফলে সকাল থেকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। আটকে থাকা পণ্য যাতে ব্যবসায়ীরা দ্রুত খালাস করে নিতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এসপি