বাইরে উৎসব ভেতরে ফাঁকা
হারাগাছ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ভোটারশূন্য
‘টাইম হইলে ভোট দিমো। আগোত ভোট দিলেতো মজা শ্যাষ। খালি কি মুই বাইরোত? মোর মতো তো কত মাইনসে এ্যলাও ভোট দেয় নাই।’এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন হারাগাছ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটার আকবর আলী।
সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও কেন্দ্রগুলোতে তেমন ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়নি। তবে কেন্দ্র ফাঁকা থাকলেও ভোট উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে ভোটকেন্দ্রের বাইরে। হারাগাছ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্রের বাইরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশির ভাগ ভোটার এখনো ভোট দেননি।
বিজ্ঞাপন
আবদুল্লাহ নামে এক ভোটার বলেন, ভোট তো দেমো। কিন্তু আরো বেলা হউক। ভোট দিলে তো আর কায়ো খোঁজ করবার নায়। আগোত বেটিছাওয়া দেউক। তারপরও হামরা যামো।
সংরক্ষিত (৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড) নারী কাউন্সিলর সুমাইয়া আক্তারের সমর্থক তৌহিদুল ইসলাম তুষার বলেন, ভোটকেন্দ্রের বাইরে সবাই ঘোরাঘুরি করছে, এটাও একটা আনন্দ উৎসব। যারা ভোটার তারা ঠিকই ভোট দিবেন। অনেকে ভোট দিয়েছে, আবার কেউ কেউ পরে দিবে। সব কেন্দ্রের বাইরে এ রকম উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
হারাগাছ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুল হামিদ সরকার জানান, ইভিএম পদ্ধতিতে এখানকার ভোটাররা প্রথমবার ভোট দিচ্ছেন। এ কারণে কেউ একটু সময় নিচ্ছেন। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৩০৪ জন ভোট প্রদান করেছেন। এখানে মোট ভোটার ২ হাজার ৬৬৯ জন।
এদিকে সকাল থেকে হারাগাছ সরকারি কলেজ, হারাগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হারাগাছ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, বাংলা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, মোল্লাটারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি খুব বেশি ছিল না। কিছু কিছু কেন্দ্রে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। তবে বেশিরভাগ কেন্দ্রের বাইরে বিভিন্ন প্রার্থীর প্রতীকের পক্ষে স্লোগান আর দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
হারাগাছ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র হাকিবুর রহমান মাস্টার (নৌকা), বিএনপির মোনায়েম হোসেন ফারুক (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জাহিদ হোসেন (হাতপাখা) এবং আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদুল হক এরশাদ (নারকেল গাছ)।
এ ছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর (পুরুষ) পদে ৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে মোট ভোটার ৪৯ হাজার ১৭ জন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ২৫ হাজার ৩২৪ এবং পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৬৯৩ জন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি