সাতছড়িতে উদ্ধারকৃত রকেট লঞ্চার

হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ভারী অস্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তাদের এ অভিযান চলে। অভিযানে রকেট-গোলাসহ ভারী অস্ত্রের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির ৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সামিউন্নবী চৌধুরী।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল সাতছড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। এ সময় রকেট-গোলাসহ ভারী অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। রাত হওয়ার কারণে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে অভিযান চলমান। কিছু অস্ত্র পাওয়া গেছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা যাবে।

লে. কর্নেল সামিউন্নবী চৌধুরী

চুনারুঘাট থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক ধাম জানান, বিজিবির অভিযানের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তবে পুলিশকে কিছুই জানানো হয়নি।

সাতছড়ি রেঞ্জের কর্মকর্তা মোতালিব হোসেন জানান, বিকেল থেকেই বিজিবি সাতছড়িতে অভিযান চলানো শুরু করেছে। তবে কিসের অভিযান, সে ব্যাপারে আমাদের কিছুই জানায়নি।

উল্লেখ্য, প্রথমে ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় র‌্যাব অভিযান চালিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে কামানবিধ্বংসী ৩৩৪টি রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে।

একই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে সাতছড়ির গহিনে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। ১৭ অক্টোবর এসএমজি এবং এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, থ্রিনটথ্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।

পঞ্চম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়। সবশেষ ষষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশ কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। তবে এসব ঘটনায় কোনো সময়ই কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

মোহাম্মদ নুর উদ্দিন/এনএ