প্রতীকী

নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন সায়মা আবাসিক হোটেলে নিয়ে এক মাদরাসাছাত্রকে (১৫) বলাৎকারের চেষ্টার অভিযোগে এনামুল হক (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই মাদরাসাছাত্রের বাবা বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেছেন। 

জানা যায়,  সোমবার (২১ ডিসেম্বর) গাজীপুরের একটি মাদরাসা থেকে মোবাইল কেনার জন্য নরসিংদীতে পালিয়ে আসে ওই ছাত্র। পরে সন্ধ্যায় নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের পেছনে একটি চায়ের দোকানে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার এনামুল হকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এনামুল ওই ছাত্রকে গাজীপুরে ফিরে না গিয়ে তার সঙ্গে রাতে থেকে সকালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে রাজি হওয়ার পর ওই ছাত্রকে নিয়ে সায়মা আবাসিক হোটেলের ২০১ নম্বর রুমে ওঠেন এনামুল। রাত ৯টার দিকে ওই রুম থেকে দুজনের চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে পাশের রুমের লোকজন সেখানে গিয়ে এনামুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় পাশেই ওই মাদরাসাছাত্রকে ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে ছিল। 

ওই মাদরাসাছাত্র জানায়- তাকে বলাৎকারের চেষ্টা করায় এনামুলকে সে ছুরিকাঘাত করেছে। ঘটনার পর পরই হোটেল কতৃপর্ক্ষ বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ এসে রাতেই দুজনকে নরসিংদী মডেল থানায় নিয়ে যায়। সকালে ওই মাদরাসাছাত্রের পরিবারকে খবর দেয়া হলে তারা থানায় এসে এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেন। 

ওই মাদরাসাছাত্রের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে। আর অভিযুক্ত এনামুল হক ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ষোলগাই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। 

নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক আতাউর রহমান বলেন, অভিযুক্ত এনামুল হকের উরুতে প্রায় দুই ইঞ্চি ক্ষত পাওয়া গেছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ এনামুলকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে ছুরিকাঘাতের কথা স্বীকার করেছে ওই মাদরাসাছাত্র। 

তিনি বলেন, ঘটনার সময় মাদরাসাছাত্রের করা একটি ভিডিও ফুটেজও আমাদের কাছে আছে। আমরা বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখব। আপাতত অভিযুক্ত এনামুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। 

আরএআর