সংঘর্ষ

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দিনব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এতে হাসান (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোহনগঞ্জ পৌরশহরে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ৯ পুলিশ সদস্য ও একজন সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক।  

নিহত হাসান উপজেলার মাঘান সিয়াধার ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে। সংঘর্ষে আহতরা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয় থানা পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন ও অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়। 

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, মোহনগঞ্জের বরকাশিয়া গ্রামের একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে প্রতিদিন ১০ টাকা করে চাঁদা নিয়ে আসছিল। এক অবস্থায় বুধবার সকালে একই উপজেলার বিরামপুর গ্রামের অটো চালকেরা চাঁদা দেবে না বললে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এর একপর্যায়ে দুই গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে যায় এবং মোহনগঞ্জ পৌরশহর জুড়ে সংঘর্ষের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক দফা এ সংঘর্ষে তিন এসআইসহ ৯ পুলিশ সদস্য, ইত্তেফাকের সাংবাদিক সারোয়ার খোকনসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে অর্ধশতাধিক লোকজন আহত এবং এক যুবক নিহত হন। 

রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোহনগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামের সাথে কথা সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নেত্রকোনা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত রয়েছে।

জিয়াউর রহমান/আরকে