সিমন

রংপুরে নানার বাড়ি থেকে নিখোঁজ সাত বছরের শিশু সিমনের মরদেহ ২৭ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে নগরীর রবার্টসনগঞ্জ তাঁতিপাড়ার এক নির্মাণাধীন ভবনের ঢাকনাহীন সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ।

তিনি জানান, সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু সিমন তার নানার বাড়ি রবার্টসনগঞ্জ তাঁতিপাড়ায় থাকত। সিমনের বাবা রাজমিস্ত্রি বেল্লাল মিয়া লালমনিরহাটের বাসিন্দা। মা শাপলা খাতুন ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।

এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় সিমন। ২৭ দিন পর শনিবার বাড়ির কাজ করতে গিয়ে বেলা ১১টায় শ্রমিকরা সেপটিক ট্যাংকে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেলা ২টায় সিমনের মরদেহ উদ্ধার করে। 

এদিকে নিখোঁজের ঘটনায় ১৫ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সিমনের নানা আব্দুস সালাম।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরনের কাপড় ও জুতা দেখে সিমনের নানা মরদেহ শনাক্ত করেন। এটি হত্যা নাকি দুর্ঘটনা, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছেন বলেও তিনি জানান।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস