সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সরকারি খাস জমির দখল নিয়ে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। শনিবার (১৩ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের নুরনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহ মুল্লুক (৪৫) নুরনগর গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আটকরা হলেন— নুর নগর গ্রামের জমশেদ মিয়া, নাঈম মিয়া ও মুনসুর আহমেদ।

গুরুতর আহত নুরনগর গ্রামের তোফাজ্জল, শামসুল ইসলাম, সফর আলী, সিরাজুল ইসলাম, লুৎফুর রহমান, ইউসুফ মিয়া, আব্দুল বারিক ও আবুবক্কর সিদ্দিককে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছে দিরাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুরনগর গ্রাম-সংলগ্ন পিয়াইন নদীর উত্তর পাড়ে সরকারি খাস জমি নিয়ে ওই গ্রামের ফিরোজ মিয়া ও শামসুল ইসলামের লোকজনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। এ বিষয়ে ডজনখানেক মামলাও রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) শামসুল ইসলামের পক্ষের বৃদ্ধ সুরুজ আলী ও তার স্ত্রী-পুত্রকে মারধর করেন ফিরোজ মিয়ার লোকজন। এরপর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

শনিবার দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে শামসুল ইসলামের পক্ষের শাহ মুল্লুক (৪৫) দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয়রা জানান, পিয়াইন নদী-সংলগ্ন খাস জমি ফিরোজ মিয়া গং হতদরিদ্রদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে দখল দেওয়ার চেষ্টা করলে বাধা হয়ে উঠেন শামসুল ইসলাম ও তার লোকজন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।

দিরাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহত শাহ মুল্লুকের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।

সাইদুর রহমান আসাদ/এমএসআর