বসতবাড়িতে ঘর কুপিয়ে ভাঙচুর করা হয়

মাদারীপুরের কালকিনিতে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী এস এম হানিফ সরদারের চার কর্মীর বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পৌরসভার স্থগিত হওয়া নির্বাচনে নৌকার পক্ষে নির্বাচন করায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা এ হামলা চালিয়েছেন বলে জানা যায়। এ সময় বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (১২ মার্চ) রাতে পৌরসভার ঠেঙ্গামারা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বাধা দিতে এলে আহত হয়েছেন ছয়জন নারী। পরে তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ, ভুক্তভোগী ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, চরঠেঙ্গামারা গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম তার বাড়ির লোকজন ও আশপাশের কর্মীদের নিয়ে প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী এস এম হানিফের প্রতীক নৌকার নির্বাচন করে আসছেন। এ অপরাধে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সোহেল রানা মিঠুর সমর্থক আলামিন সরদারের নেতৃত্বে রাজীব বেপারী, লুতু হাওলাদার ও নুরু সরদারসহ বেশ কয়েকজন দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আওয়ামী লীগের নেতা শহিদুল ইসলাম, রিপন ঘড়ামী, রাজিব ঘড়ামী ও সজীব ঘড়ামীর বসতবাড়িতে কুপিয়ে ভাঙচুর চালান। এ সময় ১০ থেকে ১২টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

হামলাকারীদের বাধা দিতে এলে বৃদ্ধ রুবিনা বেগম (৬৫), কলেছাত্রী মুনমুন (১৯), বিউটি বেগম (২৫), রিনা বেগম (৪০), মায়া (৫৪) ও ছায়েদা বেগম (৩০) আহত হন।

পরে খবর পেয়ে নৌকার প্রার্থী এস এম হানিফ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বাড়ি পরিদর্শন করেন। অন্যদিকে হামলা, ভাঙচুর ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কালকিনি থানায় একটি মামলা করেছেন।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী এস এম হানিফ সরদার বলেন, কালকিনির কেউ বলতে পারবে না আমি কোনো দিন ব্যক্তিগতভাবে কারও সঙ্গে মারামারি করেছি। যতটুকু সম্ভব মানুষের উপকার করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। তাই আমার শত্রুর অভাব নেই। বিনা কারণে আমার কর্মী-সমর্থকদের মারধর করছে মিঠুর লোকজন। আমি এটার সঠিক বিচার চাই।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল রানা মিঠু বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে এসব বলা হচ্ছে। আমার সমর্থকরা কেউ এ ঘটনায় জড়িত নয়।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো নাছিরউদ্দিন মৃধা ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

নাজমুল মোড়ল/এনএ