ইউএনও জানে আলমে

পুকুর ভরাটের অভিযোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানে আলমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় ইউএনও ছাড়াও অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী জেলা পরিবেশ আদালতে অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন বিশ্বাস মামলাটি করেন। আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু তালেব মামলাটি গ্রহণ করে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শকের উপস্থিতিতে আগামী ২২ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, গোদাগাড়ী সদর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর মৌজায় একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। শূন্য দশমিক ৫৮ একরের পুকুরটি ১৮৮ নম্বর জেএলের ২৮৫ নম্বর দাগে অবস্থিত। এটি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি। উপজেলা ভূমি অফিসের খাতার রেকর্ড অনুযায়ী, এই জমির শ্রেণি পুকুর। পরিবেশ আইন-১৯৯৫ এর বিধান অনুযায়ী, জলাশয় ভরাট নিষিদ্ধ। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানে আলমসহ আরও পাঁচ-ছয়জন ব্যক্তি পরিবেশ দূষণ ও পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে পুকুরটি ভরাট করছেন। এতে পরিবেশ আইনের ৬(ঙ) ধারা অনুযায়ী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বাধ্য হয়ে মামলা করা হলো।

মামলার বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী রায়হান কবির বলেন, গোড়াগাড়ী ইউএনওসহ ৫-৬ জন পরিবেশ দূষণ ও পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে একটি পুকুর ভরাট করছেন, যা বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ৬(৬) ধারা মোতাবেক অপরাধ। ফলে তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি আদালত আমলে নিয়েছেন। আগামী ২২ মে মামলার শুনানি হবে।

এ বিষয়ে ইউএনও মো. জানে আলম মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলার বিষয়ে আমি জানি না। তবে সাংবাদিকদের কাছ থেকে মামলার কথা শুনেছি। তিনি কোনো কাগজপত্র পাননি বলে জানান।

এমজেইউ