সিলেটে চাল, তেল, খাসির মাংস, দারুচিনিসহ বেড়েছে শাক-সবজির দাম

গেল এক সাপ্তাহের ব্যবধানে সিলেটের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরেক দফা বেড়েছে। খুচরা বাজারে এক লাফে কেজিতে ৫ থেকে ১২ টাকা বেড়ে গেছে। রমজান শুরুর আগেই দাম বাড়ানোয় ভোক্তাদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে।

হঠাৎ করে বাজার দর বাড়ার পেছনে একে অপরকে দায়ী করা হচ্ছে। গত ১৫ দিনে সিলেটের বাজারে চাল, তেল, খাসির মাংস, দারুচিনি ও শাক-সবজির দাম বেড়েছে।

তবে ব্রয়লার মুরগি, গরুর মাংস, মাছ ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। আর অপরিবর্তিত অছে মসুর ডাল (ছোট দানা), দেশি আদা, পেঁয়াজ, ছোলা, মসুর ডাল (বড় দানা), রসুন ও চিনির দাম। অন্যদিকে পেঁপে, টমেটো, বেগুন, কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে।

আড়ৎদার ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কারসাজি করে কতিপয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট রমজান উপলক্ষে পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। কোনো কোনো পণ্যের দাম ওঠানামা করছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সিলেটের কালিঘাট, বন্দরবাজার ও আম্বরখানাবাজার ঘুরে দাম বৃদ্ধির এ চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি আলু মানভেদে বিক্রি হয়েছে ১৮-২০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা ও কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১২৫ টাকা, গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কালিয়ারা মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, গাগট ৬০০ টাকা, শোল ৪০০ টাকা, রুই ২৭০-৮০, পাবদা মাছ ৩০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

অন্যদিকে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৩৯ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি আর পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৫ টাকা দরে। ছোলা কেজি ৬২ টাকা, মসুর ডাল ৬৮ টাকা, আদা ৬০ টাকা, রসুন কেজিপ্রতি ১১০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

আর মিনিকেট চাল কেজিতে ৫ থেকে টাকা বেড়েছে। মিনিকেট কেজিপ্রতি ৬০, মিনিকেট আতব ৫৫, মালা ৫০ ও জিরা সিদ্ধ ৬৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

আম্বরখানা বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা আলম মিয়া বলেন, ‘নানা অজুহাতে একের পর এক পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এমনিতেই আমাদের মতো ভোক্তার আয় কমে গেছে। তার মাঝে বাজারে এসে নিত্যপণ্য বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে কী করে টিকে থাকব?’

মুদি দোকানদার কামরান বলেন, ‘সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। ১ মাস ধরে এভাবে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। পাইকাররা সরবরাহের ঘাটতির অজুহাত দিয়ে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন। বেশি দরে এনে আমরাও বেশি দরে বিক্রি করছি।’

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আ ন ম বদরুদ্দোজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘রনিমজান মাসে ত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে আমাদের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজার মনিটরিংয়ে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে কারসাজি রোধে চূড়ান্ত রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।’

তুহিন আহমদ/এমএসআর