চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আহত গৃহবধূ

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কালি ভান্ডারদহ গ্রামে দোলন অধিকারী (২৫) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন তার স্বামী। প্রতিবেশীরা মুমূর্ষু অবস্থায় দোলনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী ভ্যানচালক জসিম অধিকারী পলাতক রয়েছেন।

আহত দোলন অধিকারী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের কালি ভান্ডারদহ গ্রামের হিন্দুপাড়ার ভ্যানচালক জসিমের স্ত্রী।

প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে দোলনের বিবাদ চলে আসছিল। বুধবার সকালে দোলনকে ধারালো চাকু দিয়ে জবাইয়ের চেষ্টা করে স্বামী জসিম। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আগে জসিম অধিকারী সেলুনের কাজ করতেন। এ ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, দোলনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার গলার রগ কেটে গেছে। তার গলায় অসংখ্য সেলাই দেয়া হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো হতে পারে। 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। স্ত্রীর ঘাড়ে কোপ দিয়েছে তারই স্বামী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী জসিম অধিকারীকে আটক করতে অভিযান চলছে। 

আরএআর