পেঁপের কেজি ১২০ টাকা
শেরপুরে কাঁঠালের পর এবার ১২০ টাকা কেজি দরে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে। বুধবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা শহরের রঘুনাথ ও নয়আনী বাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
রঘুনাথ বাজারে পেঁপে কিনতে আসা রবিউল ইসলাম নামে একজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মধ্যবিত্তরা মনে হয় তরমুজ, কাঁঠাল, পেঁপে এসব আর কিনে খেতে পারবে না। আজ ছোট ছেলে পেঁপে খাওয়ার আবদার করেছিল, এজন্য বাজারে আসছি। এসে তো রীতিমত জ্ঞান হারানোর মত অবস্থা। বিক্রেতা এক কেজি পেঁপের দাম চান ১২০ টাকা। ছেলের আবদার তাই ছোট একটা পেঁপে কিনলাম। ওজন হয়েছে আধা কেজি। যার দাম ৬০ টাকা।
বিজ্ঞাপন
আরেক ক্রেতা মাসুদ হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই জামানায় আর কী দেখার বাকি আছে। এই ছোট ছোট পেঁপে পিস হিসেবে বিক্রি করলে প্রতি পিস মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ টাকা হতো। এখন বাধ্য হয়ে পেঁপে ১২০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। যেখানে প্রতিটি পেঁপের দাম এসেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল আমিও কেজি দরে পেঁপে কিনেছি। আমি যে পেঁপেটা কিনেছি সেটার দাম পিস প্রতি হলে ২০ থেকে ২৫ টাকা হবে। কিন্তু তারা আমার থেকে ৪৫ টাকা করে রেখেছে। এভাবে ক্রেতাদের জিম্মি করে ব্যবসা করার মানে কী?
বিজ্ঞাপন
পেঁপে বিক্রেতা রহমত জানান, লকডাউনে সক কিছুর দাম বেড়ে গেছে। এই পেঁপেগুলো সদর উপজেলার লছমনপুর থেকে এনেছি। এক মণ পেঁপের দাম পড়েছে তিন হাজার টাকা। এখন সব কিছু কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই আমিও পেঁপে কেজি দরে বিক্রি করছি।
ক্রেতারা কোনো অভিযোগ করেন কিনা জানতে চাইলে রহমত বলেন, পুরো শহর ঘুরলে দু-এক জায়গায় পেঁপে পাবেন। তাই যা দাম চাই পাবলিক তাই দিয়ে কিনে নেয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের শেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, রমজান মাসে এ ধরনের সিন্ডিকেট বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের কোনো পণ্যের দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে ব্যবসায়ীরা যেন ক্রেতাদের জিম্মি করে ব্যবসা করতে না পারেন সেটির আইন আছে। আমরা এসব বিষয় আমলে নিয়ে যে কোনো মুহূর্তে অভিযান পরিচালনা করবো।
জাহিদুল খান সৌরভ/আরএআর