পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকায় লাগা আগুন নেভানোর একদিন পর ঘটনাস্থলের এক কিলোমিটার দক্ষিণে ফের আগুন লেগেছে। বুধবার (০৫ মে) সকাল ১০টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে দিনভর চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ। 

বনের মধ্যে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিস বিকেল ৫টায় অভিযান সমাপ্ত করেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোরে  পুনরায়  অভিযান শুরু হবে। তবে বন বিভাগের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাতেও ওই এলাকায় অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক জয়নাল আবেদীন।

স্থানীয়দের মাধ্যমে আগুন লাগার খবর পেয়ে বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি ইউনিট, স্থানীয়রা এবং বন বিভাগের শতাধিক কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। রাতে সুন্দরবনে অবস্থান করার নিয়ম না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে না এনেই আজকের মত অভিযান সমাপ্ত করা হয়।  

এর আগে সোমবার (০৩ মে) বেলা ১১টায় দাসের ভারানি এলাকায় আগুন লাগে  তিন একর বনভূমি পুড়িয়ে মঙ্গলবার (০৪ মে) বিকেল ৬টায় শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকার আগুন নিভে যায়। ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ, সিপিজি সদস্য ও স্থানীয়দের যৌথ চেষ্টা এবং বৃষ্টির ফলে এলাকার সম্পূর্ণ আগুন নিভে গেলে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। 

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, সকাল থেকে আমাদের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। বন বিভাগ ও আমাদের কর্মীরা আগুনের চারপাশে ফায়ার বেজ তৈরি করেছে। এখনও আগুন জ্বলছে। তবে আগুন আর ছড়ানোর আশঙ্কা নেই। পর্যাপ্ত আলো না থাকায় আমরা অভিযান স্থগিত করেছি। সোমবারের আগুনের চেয়ে বুধবারের আগুনের তীব্রতা ও ব্যাপ্তি অনেক বেশি। আমরা ধারণা করছি অন্তত ১০ একর বন জুড়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে আগুন জ্বলছে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক জয়নাল আবেদীন বলেন, সোমবার (০৩ মে) দুপুরে যে আগুন লেগেছিল সবার চেষ্টায় মঙ্গলবার বিকেলে সেই আগুন নেভানো সম্ভব হয়। কিন্তু বুধবার সকালে আগের দিনের আগুনের স্থানের দক্ষিণ পাশের কিছু কিছু জায়গা থেকে ধোয়া বের হতে দেখা যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলে ওঠে। বিকেল ৫টায় ফায়ার সার্ভিস তাদের অভিযান স্থগিত করেছে। তবে পর্যবেক্ষণের জন্য আমাদের লোকজন বনের মধ্যেই থাকবে।  

তানজীম আহমেদ/আরএআর