সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মঙ্গলপুর গ্রামের বিল থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ৬ টুকরো ভাসমান লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক নারীসহ ৬ জনকে আটক করেছে র‌্যাব-৯ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। 

গতকাল মঙ্গলবার (৪ মে) র‌্যাব সদস্যরা দিরাইয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করে তাদের। এরপর গভীর রাতে দিরাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে আটকদের।

র‌্যাব-৯ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটক ৬ জন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দাউদপুর গ্রামের মো. কবির হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। দুদু মিয়ার সঙ্গে কবিরের আর্থিক লেনদেন নিয়ে শত্রুতার জের এবং দুদু কর্তৃক কবিরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও অপমানিত হওয়ার জেরে কবির সহযোগীদের নিয়ে দুদুকে হত্যা করে। পরে লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে বিলে ফেলে দেয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহদের আটক করা হলেও মূলহোতা আটক নাজমুলের ভাই কবির মিয়া ও তার সহযোগী ভাঙ্গাডহর গ্রামের দোলন মিয়া পলাতক রয়েছে।

আটকরা হলেন, ইসলামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের স্ত্রী আল বাহার বেগম (৩৫), ভাঙ্গাডহর গ্রামের মৃত জলধর দাসের সত্যরঞ্জন দাস (৫৫), নরুত্তমপুর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৫), দাউদপুর গ্রামে মৃত তোয়াহিত মিয়ার ছেলের নাজমুল হুসাইন (৪৯), নরুত্তমপুর মুসলিম উল্লাহ’র ছেলে লুৎফর রহমান (৩৫) ও ভাঙ্গাডহর গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে আ. মালেক (৩০)।

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল রাতে দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামের বিলের একটি ডোবা থেকে মাথাবিহীন ৫ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন সকালে এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে লাশের ক্ষতবিক্ষত মাথা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত লাশের পরিচয় জানা যায়নি। তবে পুলিশ ও স্থানীয়রা ধারণা করছিলেন টুকরো টুকরো লাশগুলো মঙ্গলপুর গ্রামের নিখোঁজ দুদু মিয়ার। কেননা, ২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুর ২টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন দুদু মিয়া (৪১)। উদ্ধারকৃত লাশের পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখে সন্তানরা দুদু মিয়ার লাশ বলে দাবি করেন।

সাইদুর রহমান আসাদ/এমএএস