শাহ আলমকে সম্মাননা : ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা চান ডিসি
শাহ আলমকে সম্মাননা দেয়ার ব্যাখ্যা চেয়ে ডিসির চিঠি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহামারি করোনাভাইসের সময়ে অসহায়-গরিবদের জন্য সরকারের দেয়া ওএমএস কার্ডে ভাগ বসানো ও বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহ আলমকে কোন প্রক্রিয়ায় সমাজসেবা সম্মাননার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছে-সেটি লিখিতভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মাসুদুল হাসান তাপসকে চিঠি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান। রোববার (৩ জানুয়ারি) রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়।
জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ইতোপূর্বে মো. শাহ আলম ওএমএস ডিলারশিপ সংক্রান্ত বিষয়ে বিতর্কিত হওয়ায় তাকে সম্মাননা দেয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। কোন প্রক্রিয়ায় এবং কীভাবে মো. শাহ আলমকে সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, এ বিষয়টি নিম্ন স্বাক্ষরকারী জ্ঞাত নন। এ অবস্থায় মো. শাহ আলমকে সম্মাননা প্রদানের বিষয়টি কোন প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত হয়েছে তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে শনিবার (২ জানুয়ারি) জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহ আলমকে সম্মাননা দেয় সমাজসেবা কার্যালয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্দকৃত ওএমএস কার্ডের তালিকায় জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহ আলমের স্ত্রী মোছাম্মৎ মমতাজ আলম ও মেয়ে আফরোজাসহ স্বজনদের নাম ওঠানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তুমুল সমালোচনার মুখে গত ১৩ মে জেলা ওএমএস কমিটির সভায় শাহ আলমের ওএমএস ডিলারশিপ বাতিল করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ডিলারশিপ বাতিলের বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ওএমএস কার্ডের তালিকায় পরিবার ও স্বজনদের নাম ওঠানোর ব্যাপারে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় শাহ আলমের ওএমএস ডিলারশিপ বাতিল করা হয়।
এদিকে, গত শনিবার সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য শাহ আলমকে সম্মাননা দেয় সমাজসেবা কার্যালয়। শাহ আলম নিজেই তার ফেসবুক আইডিতে সম্মাননা সম্পর্কে পোস্ট করেন। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মাসুদুল হাসান তাপস বলেন, উনি (শাহ আলম) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রশিক্ষিত একজন সমাজকর্মী। পাশাপাশি আমাদের শিশু পরিবার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য। ওএমএস ডিলারশিপ বাতিলের তথ্যটি আমাদের জানা ছিল না। করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের দ্রুত অনুষ্ঠান করতে হয়েছে। যদি আমরা আগে থেকে জানতাম, তাহলে হয়তো অধিকতর যোগ্যতার মধ্যে তার (শাহ আলম) নামটি আসতো না।
এসপি