ভৈরবে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের দুর্জয় মোড়ে হঠাৎ একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসটিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। 

তবে বাসটিতে কীভাবে আগুন লেগেছে তা কেউ বলতে পারেনি। আগুনে কোনো যাত্রী হতাহত না হলেও বাসটির চালক ও হেলপারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস ও প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-কিশোরগঞ্জগামী অনন্যা পরিবহনের একটি বাস (কিশোরগঞ্জ-ব-১১-০০৬০) ১০/১২ জন যাত্রী নিয়ে কিশোরগঞ্জে যাচ্ছিল। কিছুটা পথ যাওয়ার পর এলাকাবাসী ও দোকানদাররা বাসের পেছনে আগুন দেখে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় দোকানদার ও পথচারীদের চিৎকারে চালক বাস থামান। বাসের পেছনের সিটে আগুন দেখে বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীরা দ্রুত নেমে যান। ততক্ষণে পুরো বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে বাসটি ভস্মীভূত হয়ে যায়।

ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রাকিব হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে যাত্রীবাহী বাসে আগুনের খবর পায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আধা ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বলেন, বাসের চালক-হেলপার ও যাত্রীরা পালিয়ে যাওয়ায় আগুনের ঘটনাটি কীভাবে ঘটল তা প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ বলতে পারছে না। ঘটনাটি নাশকতা কিনা তদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় থানায় পুলিশ বাদী হয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবে।

এদিকে, রোববার (০৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বেতবাড়িয়া এলাকায় তিশা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাসের ৪ যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মহাসড়কে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। 

এসপি