খুলনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১২
খুলনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৭ মে) জেলার ফুলতলা ও ডুমুরিয়া উপজেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সুজাত ও যশোর সদরের শেখহাটি এলাকার মতিয়ারের ছেলে রিন্টু। এ ঘটনায় আহত অন্যরা হলেন- কেশবপুর উপজেলার সারুটিয়া এলাকার শরিফুল ইসলাম (৪০), ভ্যান যাত্রী যশোর সদরের চুড়ামনকাটি এলাকার প্রকাশ দাস (৩৯), তার স্ত্রী শ্রীমতি দাস (২৮) ও বৃত্তিকা দাস (৬), ডুমুরিয়ার কামরুল ইসলাম গাজী (৩৫) ও আংগরদাহ গ্রামের মনটী দাস (৩৫)।
বিজ্ঞাপন
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওবাইদুর রহমান, ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন ও নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার এসআই খালেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা খুলনা নৌপুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুকনগর খুলনা মহাসড়কের বরাতিয়া বিশ্বাস ক্ষাড়ির মোড়ের কাছে পৌঁছালে ভ্যানটি পেছনের চাকা পাংচার হয়ে যায়। এ সময় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে একটি বাড়ির ভেতরে চলে যায়।
বিজ্ঞাপন
পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যান মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়ে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল ও ভ্যানে থাকা ৭ জন আহত হয়। এ সংবাদের ডুমুরিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী সুজাত মারা যান।
অন্যদিকে সোমবার (১৭ মে) সকাল ৯টার দিকে যশোর থেকে খুলনা অভিমুখী মাহেন্দ্রার সঙ্গে বিপরীতমুখী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাহেন্দ্রা দুমড়েমুচড়ে যায় ও ট্রাকের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংঘর্ষে মাহেন্দ্রার যাত্রীসহ ৭ জন গুরুতর আহত হয়। আহত ব্যক্তিদের গুরুতর অবস্থায় প্রথমে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে যশোর সদরের শেখহাটি এলাকার মতিয়ারের ছেলে রিন্টু (৩৮) মৃত্যুবরণ করেন।
ঘটনায় আহতরা হলেন- ফুলতলা উপজেলার হাপরাস্তা এলাকার তাহের মোল্লার ছেলে আবদুর রহমান (৩০), তেরখাদা উপজেলার আবদুর রাজ্জাকের ছেলে জামাল (৩৫) ও তার শিশুপুত্র তাসনিম (৭), দৌলতপুরের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে খোকন (৩৫), যশোর চৌগাছার রবিউলের ছেলে ফয়সাল (৩০) ও অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিরপাশা এলাকার ইসহাকের ছেলে মামুন (৩০)।
মোহাম্মদ মিলন/এনএ/ওএফ