এনজিওর কিস্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা

বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় মাছের প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণের জন্য ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ অবস্থায় এনজিওর কিস্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এই সময়ে জেলার ৪৭ হাজার ৮০৫ জেলেকে ৫৬ কেজি করে ভিজিএফের চাল দেওয়া হবে জানিয়েছে মৎস্য অফিস।

রাঙ্গাবালীর দক্ষিণ চরমোন্তাজ এলাকার জেলে মালেক সিকদার বলেন, মাছ ধরে আমার সংসার চলে। একে তো করোনা, তার ওপর অবরোধ। সব জেলে কিন্তু চাল পায় না।

গলাচিপার পাটুয়া গ্রামের জেলে মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাগো জীবন চলে জালে। সাগরে গেলে খাবার জোটে, না গেলে বন্ধ থাকে। 

একই এলাকার জেলে মালেক শিকদার বলেন, সাগরে তেমন মাছ নেই। গত কয়েকদিন মাছ পাইনি। আজ থেকে ৬৫ দিনের অবরোধ শুরু হয়েছে।

অবরোধ সফল করতে জেলেদের সঙ্গে সচেতনতা সভা

দশমিনার চর বোরহান এলাকার জেলে মমিন মীর বলেন, অবরোধের কারণে একমাত্র আয়ের পথ বন্ধ থাকবে। তখন ঘরের খাবার চলবে কীভাবে? তার ওপর কিস্তির লোক বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে। খাবার না হয় দু-এক বেলা না খেয়ে থাকব। কিন্তু কিস্তি দিমু কীভাবে?

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় নিবন্ধিত ৪৭ হাজার ৮০৫ জন জেলে রয়েছেন। মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক জেলেকে ৫৬ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে। 

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ। অবরোধ সফল করতে জেলেদের সঙ্গে সচেতনতা সভা করা হয়েছে। নিবন্ধিত জেলেদের ভিজিএফ চাল দেওয়া হবে। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে।

মহিব্বুল্লাহ চৌধুরী/এএম