গ্রেফতার ওমর ফারুক

প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার কলেজছাত্র ওমর ফারুক (২৩)। ঘটনা আড়াল করতে হত্যার পর মরদেহ বস্তায় ভরে ডোবায় ফেলে দেন তিনি। শুক্রবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় কক্সবাজার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ এসব তথ্য জানান। 

এ ঘটনার মূলহোতা কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামার আনোয়ার হোছাইনের ছেলে চকরিয়া কলেজের ছাত্র ওমর ফারুককে সিলেট থেকে এবং তার সহযোগী মোহাম্মদ ইলিয়াসকে পেকুয়া থেকে গ্রেফতারের পর হত্যার মূল রহস্য জানতে পারে সিআইডি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পেকুয়ার মগনামা ফতেআলী পাড়া এলাকার ওই মেয়েটি (১৬) শাহা রশিদিয়া আলিম মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার সঙ্গে ওমর ফারুকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর ফারুকের বাসায় যায় মেয়েটি। সেখানে তাকে জোর করে ধর্ষণ করেন ফারুক। ধর্ষণের পর তাকে বাড়িতে চলে যেতে বলেন ফারুক। মেয়েটি যেতে না চাইলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। পরে তার মরদেহ ডোবায় ফেলে পালিয়ে যান। পরদিন ২২ নভেম্বর ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর মামলা করে মেয়েটির বাবা। ওই মামলায় ওমর ফারুকসহ চারজনকে আসামি করা হয়।

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। গত ২৬ মে প্রধান আসামি ফারুককে গোলাপগঞ্জ থানাধীন ফুলবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর ২৮ মে তার সহযোগী ও ফুফাতো বোনের স্বামী মোহাম্মদ ইলিয়াসকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

কক্সবাজার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন চেষ্টার পর দুই আসামিকে গ্রেফতার করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে সিআইডি। এ ঘটনা দেড় বছর ধরে অনেকটা আড়ালে ছিল। 

মুহিববুল্লাহ মুহিব/আরএআর/জেএস