সাইদুর সাফা রিফাত ও কামরুন নাহার তানজিনা দম্পতির কোল আলো করে গত ২১ মে পৃথিবীতে আসে আবিদা তাবাসুম আরশি। প্রথম সন্তান হিসেবে পরিবারে আনন্দের শেষ ছিল না। কিন্তু মুহূর্তেই ফিকে হয়ে গেছে তাদের সে আনন্দ। আরশির শরীরের রং পরিবর্তন হচ্ছে। প্রাকৃতিকভাবে অক্সিজেন নিতে পারছে না। সার্বক্ষণিক তাকে বোতলের অক্সিজেনের সাপোর্ট দিতে হচ্ছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, আরশি অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়া থাকতে পারে না। অক্সিজেন খুললে তার পুরা শরীরের রং পরিবর্তন হয়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। দ্রুত চিকিৎসা না করালে আরশি মারাও যেতে পারে। এতে প্রায় ৪ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু সামান্য বেতনে চাকরি করে বাবা সাইদুর সাফা রিফাতের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা অসম্ভব। 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমহনী পৌরসভার করিমপুরের সাইদুর সাফা রিফাত ও কামরুন নাহার তানজিনা দম্পতির ঘরে গত ২১ মে জন্ম নেয় নবজাতক আবিদা তাবাসুম আরশি।

সাইদুর সাফা রিফাত ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ২১ মে আমাদের বাসায় আরশির জন্ম হয়। ওর মায়ের তখনো জ্ঞান ফেরেনি। আরশি স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারছিল না। ওর গায়ের রং কেমন জানি হয়ে যাচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে ওকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার জন্য হাসপাতালের নীবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে আমরা কেউ আরশিকে ছুঁয়ে দেখতে পারিনি।

রিফাত বলেন, চিকিৎসা না করাতে পারলে আমার সন্তানকে আর হয়তো বাঁচানো সম্ভব হবে না। আরও চার লাখ টাকার প্রয়োজন। এত টাকা আমি কোথায় পাব? ওষুধ বাবদ প্রতিদিন ব্যয় হচ্ছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। এই টাকা সংগ্রহ করতে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন কাজ করতে হয় আমাকে।

মা কামরুন নাহার তানজিনা ঢাকা পোস্টকে বলেন, দ্রুত চিকিৎসা করাতে না পারলে আমার সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। সমাজের বিত্তবানরা একটু এগিয়ে এলে তাকে বাঁচানো যাবে। আমার ফুটফুটে সন্তান আমার কোলে ফিরে আসবে।

প্রতিবেশী রাহি পাটওয়ারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি জেনে আমাদের খারাপ লেগেছে। আমাদের পরিচিতদের থেকে কিছু টাকা জোগাড় করেছি। যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। সরকার ও বিত্তশালীদের তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

চৌমহনী পৌরসভার মেয়র মো. খালেদ সাইফুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি খোঁজ নেব। পৌরসভা থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করব। 

নবজাতককে সাহায্য করতে চাইলে নবজাতকের বাবা সাইদুর সাফা রিফাতের ০১৮৬৫-৫১৭২৮১ ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে পারবেন আপনিও।

হাসিব আল আমি/এসপি