সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষায় সেখানে ১০৮ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ৫৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। করোনা মহামারি শুরুর পর জেলায় একদিনে এটিই সর্বোচ্চ করোনা শনাক্তের হার। 

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজন মারা গেছেন। এরা হলেন- সদর উপজেলার রাজারবাগ এলাকার নজিব আলী মিস্ত্রি (৭০) ও আখড়াখোলা গ্রামের মিজানুর রহমান (৫০) এবং শ্যামনগর উপজেলার নৈকাটি গ্রামের সামাদ শেখ (৫৫) ও জয়নগর গ্রামের তলেন বক্স (৮০)।

বুধবার (০৯ জুন) পর্যন্ত জেলায় ২ হাজার ৯৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৯ জন। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২৩৬ জন।

সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। দিন দিন করোনার ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে সাতক্ষীরায়। গত শনিবার (০৫ জুন) থেকে জেলাব্যাপী কঠোর লকডাউন চলছে। লকডাউনের ফলে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে কি না সেটি জানা যাবে ১৪ দিন পর।

এ পরিস্থিতিতে করোনার লাগাম টানতে প্রশাসনকে কিছুটা কঠোর হতে দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে চলছে তল্লাশি। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। ভোমরা স্থলবন্দরেও সীমিত পরিসরে চলছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। তবে ভারতীয় চালক ও হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন সে জন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

এছাড়া লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট খোলা রাখা, স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ বিভিন্ন অপরাধে জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে।

আকরামুল ইসলাম/আরএআর/জেএস