আবদুল কাদের মির্জা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমার নেতৃত্বে মিজানুর রহমান বাদলের ওপর কোনো হামলা হয়নি। গণমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ বিভ্রান্তিকর ভুল তথ্য দিয়ে প্রচারণা না করার আহ্বান জানাচ্ছি।

শনিবার (১২ জুন) রাত ৮টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এসব কথা জানান তিনি। কাদের মির্জা লিখেন,

‘‍‌‌আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় কোম্পানীগঞ্জবাসী, আজ ১২ জুন সকাল ৯টা পরবর্তী সময়ে বসুরহাট বাজারে মিজানুর রহমান বাদল তার ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে একটি হামলা শিকার হয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে আমি জানতে পারি অনেক মাধ্যম আমার নেতৃত্বে বা আমার লোকজন হামলা করেছে বলে প্রচার করতেছে।

সকলে অবগতির জন্য জানাচ্ছি, মিজানুর রহমান যখন হামলার শিকার হয় (সকাল, ৯টা পরবর্তী) তখন আমি আমার পৌরসভা অফিসে আমার দাপ্তরিক কাজ করছিলাম। হামলার অনেকক্ষণ পরে খবর পাই মিজানুর রহমান বাদলের উপর ক্ষুব্ধ কিছু লোকজন হামলা করে। আমার নেতৃত্বে মিজানুর রহমান বাদলের ওপর কোনো হামলা হয়নি। সুতরাং গণমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ বিভ্রান্তিকর ভুল তথ্য দিয়ে প্রচারণা না করার আহবান জানাচ্ছি।
-
আবদুল কাদের মির্জা
মেয়র,
বসুরহাট পৌরসভা।’

এদিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ও সাবেক ছাত্রনেতা হাসিব আহসান আলালের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু।

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় বসুরহাট বাজারের প্রধান সড়কের ইসলামী ব্যাংকের সামনে মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনার পর বসুরহাটে আবারও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতারা আতঙ্কে রয়েছেন। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন তারা।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গাড়ি ভাঙচুরসহ মিজানুর রহমান বাদল ও হাসিব আহসান আলালকে মারধর করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। পৌরসভায় দ্বিতীয় মেয়াদে গত ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলে আলোচনায় আসেন তিনি।

স্থানীয় রাজনীতির বিভিন্ন ইস্যুতে দলীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধের ঘটনায় দুটি সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় একাধিক মামলাও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ৩১ মার্চ দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন কাদের মির্জা। পদত্যাগের ৪৫ দিনের মাথায় ১৬ মে তিনি ফের দলে ফিরে আসেন।

হাসিব আল আমিন/ওএফ