ফাইল ছবি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ও পিয়ারপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৬ জানুয়ারি) পৃথক ঘটনায় বিকাল ও সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম তুহিন।

তারা হলেন- ফিরোজ আল মামুন (১৫) ও রুমা খাতুন (২৮)। ফিরোজ আল মামুন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের দাড়েরপাড়া গ্রামের শাহাজুল ইসলামের ছেলে এবং বোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। রুমা খাতুন একই উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের উজ্জ্বল হোসেনের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের একতার ফকিরের মেয়ে। তার দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে।

নিহত ফিরোজ আল মামুন ও রুমা খাতুনের স্বজনরা জানান, দুইজনই পরিবারের সদস্যদের ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফিরোজ নিজ ঘরে বুধবার বিকেল ৩টার দিকে গলায় ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফিরোজের মৃত্যু হয়।

এদিকে, একই উপজেলার রুমা খাতুন পারিবারিক অশান্তির জের ধরে বুধবার দুপুর ২টার দিকে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দেন। দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য দৌলতপুর থানা পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

এসপি