খুলনা নিউজপ্রিন্ট-হার্ডবোর্ড মিলের জমিতে হবে নতুন কারাখানা 

খুলনা নিউজপ্রিন্ট ও হার্ডবোর্ড মিলের ৪০ একর জমিতে নতুন কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআইসি)। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কারিগরি ও আর্থিক সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। একই সঙ্গে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ ও দলিলপত্র প্রস্তুত করার জন্য বিসিআইসির পক্ষ থেকে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। চাওয়া হয়েছে পাঁচ ধরনের তথ্য ও প্রতিবেদন। 

বিসিআইসি সূত্রে জানা যায়, খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের (কেএনএম) অবশিষ্ট জমি এবং খুলনা হার্ডবোর্ড মিলের (কেএইচবিএম) প্রায় ৪০ একর জমিতে একটি সালফিউরিক এসিড, ফসফরিক এসিড, এলাম প্ল্যান্ট বা পেপার মিল স্থাপন বা অন্য কোন কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। বিসিআইসির মহাব্যবস্থাপক শেখর ভট্টাচার্য্য স্বাক্ষরিত এক পত্রে নতুন প্রকল্প গ্রহণের জন্য বিভিন্ন দলিলপত্র প্রস্তুত করতে ৫ ধরনের তথ্য এবং প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। 

পাঁচ ধরনের তথ্যের মধ্যে রয়েছে- ডিজিটাল সার্ভে রিপোর্ট, সয়েল টেস্ট রিপোর্ট, ওয়াটার অ্যানালাইসিস রিপোর্ট অব সারফেস ওয়াটার (নদীর পানি) এবং আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার (গভীর নলকূপ), সংলগ্ন নদী ও মংলা পোর্টের নাব্যতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং পেপার মিল স্থাপনের জন্য বনায়নের ক্ষেত্রে উপযোগী তৎসংলগ্ন এলাকায় সরকারি খাস জমি থাকলে তার বিস্তারিত বিবরণসহ প্রতিবেদন। 

খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক একরাম উল্লাহ খন্দকার ঢাকা পোস্টকে জানান, নতুন কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। গত বছরের শেষের দিকে বিসিআইসি থেকে একটি চিঠি এসেছে। সেখানে কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচ ধরনের তথ্য-প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। গঠিত কমিটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে বলেও তিনি জানান। 

খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল ষাটের দশকে নগরীর খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের ভৈরব নদীর তীরে গড়ে ওঠে। বিগত জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর খালিশপুর নিউজপ্রিন্ট মিলটি সর্বশেষ সাইরেন বাজিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।   

আর খুলনা হার্ডবোর্ড মিল দেশের একমাত্র সরকারি হার্ডবোর্ড কারখানা। ১৯৬৫ সালে ভৈরব নদের তীরে কারখানাটি কানাডীয় সরকারি সাহায্য সংস্থার সহায়তায় স্থাপিত হয়। কারখানার প্রধান কাঁচামাল সুন্দরবনে উৎপাদিত কাঁচা সুন্দরী জ্বালানি কাঠ। সর্বশেষ মূলধনের অভাবে এবং কাঁচামাল সঙ্কটের কারণে মিলটির উৎপাদন ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। 

আরএআর