রংপুরে ইসরাত জাহান মিম নামে এক কলেজছাত্রীকে দাফনের ১৫ দিন পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই কলেজছাত্রীকে প্রতিবেশী বান্ধবীর সহায়তায় গণধর্ষণের পর হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার একদিন পর মরদেহ উদ্ধার করা হলেও ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনকার্য সম্পন্ন হয়।

বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে নগরের মুন্সিপাড়া কবরস্থান থেকে কলেজছাত্রী ইসরাত জাহান মিম হত্যা মামলার সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মলিহা খানমসহ মেট্রোপলিটন পুলিশের পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মুসা সরকার উপস্থিতি ছিলেন।

পুলিশ ও নিহত মিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে,  গত ৭ জুন নগরের আমাশু কুকরুল দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা কলেজছাত্রী ইসরাত জাহান মিমকে তার প্রতিবেশী বান্ধুবী আইভি আক্তার নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। পরদিন আইভিদের বাড়ির পাশে পুকুরে মিমের মরদেহ পাওয়া যায়। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ এনে মিমের মা নার্গিস বেগম রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালত নিহতের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশ। ওই মামলায় বান্ধবী আইভি আক্তার, তার ছোট ভাই মুন্না এবং মুন্নার বন্ধু আল-আমিন ওরফে টাইগারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মরদেহ উত্তোলনের সময় মিমের বাবা আব্দুল মালেক, মা নার্গিস আক্তারসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন মিমের মা-বাবা। তারা ন্যায় বিচার দাবি করেন।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরশুরাম থানা পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) আলতাফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই হত্যার কারণ জানা যাবে। তবে স্বজনদের দাবি- মিমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মিম হত্যা মামলায় গ্রেফতার তিনজনের বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তাদেরকে জেলগেটে তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন হয়েছে। 

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর