পাবনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টায ৮৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। 

মৃতরা হলেন- সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের সূর্য সরকারের ছেলে আব্দুর রশিদ সরকার (৫৫) ও আরিফপুর মহল্লার আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার (৩৮)

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা.আইয়ুব হোসেন বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুর ১২টা থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ৮৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৮৮ জন। মারা গেছেন ২৪ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪১০ জন। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৮৪  জন।

পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কেএম আবু জাফর ঢাকা পোস্টকে জানান, জেলায় নতুন ৮৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটিই পাবনায় সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড।

তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় এবং বিভিন্ন এলাকায় মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচলের ফলে পাবনাতেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। 

এদিকে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও পাবনা জেলায় এখনো করোনার চিকিৎসায় তেমন অগ্রগতি হয়নি। পিসিআর ল্যাবের অনুমোদন হলেও এখনো তা স্থাপন হয়নি। এ ছাড়াও করোনা চিকিৎসায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের  কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হবে চিকিৎসকদের। 

পাবনার নবাগত জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে আমরা সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। যার যার জায়গা থেকে মানুষকে সচেতন করতে হবে। 

রাকিব হাসনাত/আরএআর