ফাইল ছবি

রংপুরের তারাগঞ্জে এক স্কুলছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ওই স্কুলছাত্রীর প্রেমিক মিঠুনসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে তারাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

গ্রেফতাররা হলেন-  তারাগঞ্জের পার্শ্ববর্তী বদরগঞ্জ উপজেলার শেখেরহাট গ্রামের মোজাম্মেল হক মোজার ছেলে মিঠুন মিয়া, জবান আলীর ছেলে নাসিম, আব্দুল মজিদের ছেলে আল আমিন ও আব্দুল আজিতের ছেলে নুরুজ্জামান। 

এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। 
গত ৭ ডিসেম্বর রাতে ওই স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। 

পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের দামোদরপুর কাজীপাড়া গ্রামের একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। গত সোমবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে বাড়ির লোকজন অসুস্থ স্বজনকে দেখতে হাসপাতালে গেলে ওই স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে প্রেমিক মিঠুন ও তার চার সহযোগী মিলে  ধর্ষণ করেন। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করলেও ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন ধর্ষকরা। গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। 

এ ঘটনায় তারাগঞ্জ থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) মধ্য রাত থেকে শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূল হোতা মিঠুন মিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) তাদের আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন তারাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন। 

তিনি বলেন, আসামি মিঠুন মিয়া ছদ্মনাম সবুজ নাম ব্যবহার করে ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ঘটনার রাতে প্রেমের সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে মিঠুন ও তার সহযোগীরা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। 

ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, মিঠুনের বর্তমানে দুই স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। চার মাস আগে সে ভুয়া পরিচয়ে আমার মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরই সুযোগ নিয়ে গত সোমবার গভীর রাতে মিঠুন ও তার সহযোগীরা আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

আরএআর