পাবনা সদর উপজেলায় বিল্লাল হোসেন (৩৮) নামে এক চরমপন্থি দলের আঞ্চলিক নেতাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদরের সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাজারসংলগ্ন জামে মসজিদের সামনে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

বিল্লাল সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি দল সর্বহারা পার্টির স্থানীয় নেতা ছিলেন বলে জানা গেছে। আতাইকুলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জালাল উদ্দিন বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানায়, রোববার রাত সাড়ে ৯টার পর গুলির শব্দ শুনতে পায়। রাস্তায় গিয়ে দেখি কোনো লোকজন নেই। পরে শুনতে পায় পাটখেতে মরদেহ রেখে গা ঢাকা দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পরে আমরা পুলিশে খবর দেই।

তারা আরও জানান, বিল্লাল পাবনা শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে মোটরসাইকেলযোগে ফিরছিলেন। বাড়ি পৌঁছানোর আগে তাকে কয়েকজন সন্ত্রাসী ৩-৪টি গুলি করে। মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ পাটখেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, একসময় এই এলাকায় চরমপন্থিদের ঘাঁটি থাকলেও কয়েক বছর ধরে এলাকায় কোনো চরমপন্থির দেখা মেলেনি। সম্প্রতি এই দলের সঙ্গে এলাকার উঠতি বয়সী কিছু যুবক জড়িয়ে পড়ছে। এলাকায় গরু চুরি, মাদক, জুয়াসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে এই চক্রটি। তাদের উৎখাত না করলে আগের মতো বামপন্থি দলের উত্থান ঘটতে পারে বলে জানান এলাকাবাসী। 

তারা আরও জানান, একসময় আমরা মাগরিবের পরে সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়ির বাইরে যেতে পারতাম না। কয়েক বছর ধরে এলাকা শান্ত থাকলেও বর্তমানে নিজেদের স্বার্থ নিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়ঁতারা করছে তারা।

এদিকে ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওসি মো. জালাল উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সকালে জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম ঢাকা পোস্টকে জানান, কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। নিহত ব্যক্তি চরমপন্থি দলের স্থানীয় নেতা ছিলেন। অভ্যন্তরীণ বিরোধে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। হত্যাকারীদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে। শনাক্ত হলে দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাকিব হাসনাত/এমএসআর/এসপি