নারী ইউপি সদস্যের দরপত্র ছিনিয়ে নিলেন আ.লীগ নেতা
সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম ওরফে নবু
টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে নারী ইউপি সদস্যের হাত থেকে খেয়াঘাটের দরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় খেয়াঘাটের ইজারার দরপত্র গ্রহণ স্থগিত করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য রেনু আক্তার বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম ওরফে নবু (৫০) ও তার ছেলে লিঙ্কন মিয়াকে (২৫) আসামি করে সখীপুর থানায় অভিযোগ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বহেড়াতৈল বাজার খেয়াঘাট এক বছরের জন্য ইজারা দেওয়ার লক্ষ্যে গত ২১ জুন দরপত্র আহ্বান করে নোটিশ দেওয়া হয়। সিডিউল কেনার সর্বশেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৮ জুন। ১০ জন ব্যক্তি প্রতিজন ৫০০ টাকা করে জমা দিয়ে সিডিউল কেনেন। মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে বেলা ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম ওরফে নবু প্রথম সিডিউল জমা দেন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নারী ইউপি সদস্য রেনু বেগম দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য ইউএনও কার্যালয়ের সামনে এলে নজরুল ইসলাম ও তার ছেলে লিঙ্কন রেনুর হাতে থাকা দরপত্র ছিনিয়ে নেন। পরে রেনু বেগম কান্নাকাটি করে মোবাইলে ইউএনওকে বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করেন।
ইউপি সদস্য রেনু বেগম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ছেলে জোরপূর্বক দরপত্র ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। দরপত্র কেড়ে নেওয়ার ফলে সঠিক সময়ে জমা দিতে পারিনি। পরে এ ঘটনায় তাদেরকে আসামি করে থানায় মামলা করেছি।
সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই নারী ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতাসহ তার ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। তবে এখনও তা নথিভুক্ত হয়নি। এটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম ওরফে নবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোনো দরপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। আমার বিপক্ষ দল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিত্রা শিকারী বলেন, এ ঘটনায় ওই নারী ইউপি সদস্য বাদী হয়ে সখীপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। খেয়াঘাট ইজারার দরপত্র খোলার তারিখের আজ শেষ দিন ছিল। সেটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর