কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে শাহাজাহান বিলাস নামে এক বন্দিকে নির্যাতন করার ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র সুপার শফিকুল ইসলাম খানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার (৪ জুলাই) তদন্ত দল কুমিল্লায় এসে তদন্ত শুরু করবে।
বিজ্ঞাপন
ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ায় জড়িত থাকার অপরাধে কারারক্ষী মোহাম্মদ শরীফ ও কারারক্ষী অনন্ত চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা কারাগারের মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
মারধরের শিকার শাহাজাহান ডাকাতি ও হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ২৬ বছর ধরে তিনি কুমিল্লা কারাগারে বন্দি। সম্প্রতি তিনি ১২ পিস ইয়াবা, এক পুরিয়া গাঁজা, নগদ ৬০০ টাকাসহ কারারক্ষীদের হাতে ধরা পড়েন।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে মাদক ব্যবসা বেড়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ কঠোর ভূমিকা পালন করছে। কারাগারে যারা মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত, তারা বিষয়টি পছন্দ করতেন না। এ কারণে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারের।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তিনি আমাদের সঙ্গে উগ্র আচরণ করেন এবং মারতে আসেন। তখন তাকে হালকা মারধর করা হয়েছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে হাতেনাতে মাদকসহ আটক করা হয়েছিল। তার সঙ্গে কারারক্ষীসহ কয়েকজন জড়িত আছেন।
তিনি আরও বলেন, এর আগে, বিভিন্ন সময় কুমিল্লা কারাগারকে মাদকমুক্ত করার জন্য কারারক্ষীসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাকে বদলি ও আইনের হাতে তুলে দিয়েছি। অনেকে আমার ওপর ক্ষুব্ধ। ভিডিওটি এডিট করে পরিকল্পিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমার কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে অবগত আছি। রোববার থেকে আমরা তদন্ত শুরু করব। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।
কারাবন্দিদের নির্যাতনের কোনো বিধান আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেল কোড আইনে বন্দিদের নির্যাতনের কোনো সুযোগ নেই।
অমিত মজুমদার/আরএইচ